দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, পাকিস্তানের নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করছে বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, পাকিস্তান বলছে, বাংলাদেশে কোন গণহত্যা হয়নি। তার সূর ধরে বেগম জিয়া বলেছে বাংলাদেশে পাকিস্তানীরা এত গণহত্যা করেনি। বেগম জিয়া পাকিস্তানীদের লেজুরবৃত্তি করছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে।
শুক্রবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিষ্টিটিউশনের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ড: হাছান মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম আমির ,আওয়ামী লীগর উপ কমিটির সহ সম্পাদক এম ,এ করিম , ইসলামী পার্টির সাধারন সম্পাদক মুফতী তাজুল ইসলাম ফারুকী প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মো: ইসমাইল হোসাইন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করে বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের অপকর্মকে জায়েজ করতে চায় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষই শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশাল সংখ্যা একজন-দু’জনের নাম ধরে কখনও হিসাব করা যায় না। হত্যার ধরণ ও ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ দেখে এ হিসেব করা হয়ে থাকে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, পরিষ্কারভাবে বিএনপির নেতাদের জানিয়ে দিতে চাই, ইতিহাস বিকৃতি করার ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। এই ধৃষ্টতা দ্বিতীয়বার দেখাবেন না। জাতির পিতাকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কটাক্ষ করে ধৃষ্টতা দেখালে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। স্বাধীনতা ও ইতিহাস বিকৃতিকারীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশ থেকে চিরদিনের জন্য উৎখাত করবে জনগণ। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের পর প্রতিক্রিয়া ও একাত্তরে নিজেদের অপকর্ম অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেই অপকর্মকে জায়েজ করার জন্য বিএনপি ও জামায়াত তাদের সঙ্গে একই সুরে কথা বলে যাচ্ছে।
পাকিস্তান যেভাবে বলেছে একাত্তরে তারা এদেশে গণহত্যা করে নাই। আজও বিএনপি সেই গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাকিস্তানের সেই বক্তব্য সমর্থন করে যাচ্ছে, যোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ।খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার চক্রান্ত করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের দোহাই দিয়ে জামাত দেশকে ধ্বংশ করতে চায়। যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে দেশকে ধ্বংশ করতে চায় তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।হানিফ বলেন, জামাত ১৯৭১ সালে গণহত্যা,লুঠ করেছে। এদেশের মেয়েদের গণিমতের মাল বলে নিজেরা ধর্ষন করে পাকিস্তানীদের হাতে তুলে দিয়েছে। ধর্মকে তারা ইচ্ছে মতো ব্যবহার করেছে। তাদের উদ্যেশ্য হচ্ছে ইসলামকে ধ্বংশ করা।
হানিফ বলেন, জামাত ৭১সালে মানুষ হত্যা করেছে এখনও তারা তাই করছে। তারা মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চায়। ভারতীয উপ মহাদেশে যারা ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছে তারা কখনো ক্ষমতায় যায়নি ও মানুষ হত্যা করেনি।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এজিদ কারবালা ময়দানে নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’ বলে হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠেছিল। ঠিক তেমনি জামাত আল্লাহ হুআবর বলে মানুষ হত্যা করছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের বড় খাদেম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ইসলামের জন্য যা যা করার দরকার তাই করছেন।হ্ছাান মাহমুদ বলেন, মওদুদীর ইসলাম নয় আজ মদিনার ইসলাম কায়েম করতে হবে। ইসলামী দলগুলোকে এক হতে হবে।