Suranjit_Sen-medium20150504134651

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬: দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নখদন্তহীন করে রাখা চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের স্মরণ সভা ও চলমান রাজনীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু একাডেমির এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের বার্ষিক ‘দুর্নীতির ধারণাসূচকে (সিপিআই) এবার বাংলাদেশের অবস্থান প্রকাশের দুদিন পর সুরঞ্জিতের এই মন্তব্য এলো।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, তাদের সূচকে ২০১৫ সালে স্কোর আগের বছরের সমান হলেও সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমন ঘটেছে এক ধাপ।ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সেদিন বলেন, কোনো (দুর্নীতি দমনে) ইমপ্র“ভমেন্ট হয়নি বলেই আমরা ধারণা। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি কথাও বলতে চাই না। দুর্নীতির ব্যাপারটাতে আমরা টাচই করতে পারি নাই।

সুরঞ্জিত বলেন, দুদক কারো বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে বলা হয়, একে ধরতে হলে তার অনুমতি লাগবে, তাকে ধরতে হলে ওর অনুমতি নিতে হবে- এমন হলে চলবে না। এমন আইন করতে হবে, যাতে দুদক স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারে। দুদককে নখদন্ত বিহীন করে রাখলে চলবে না। সব দিক দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে, আর দুর্নীতিতে পিছিয়ে পড়বে এটা হয় না। দুদককে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এর জনবল আরও বাড়াতে হবে।তিনি বলেন, সব দিক দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে আর দুর্নীতিতে পিছিয়ে পড়বে এটা হয় না। দুদককে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এর জনবল আরও বাড়াতে হবে।

সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত মনে করছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীনভাবে’ চলতে দিলে এ অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। দুদক কারও বিরুদ্ধে কিছু বললে বলা হয়, একে ধরতে হলে তার অনুমতি নিতে হবে, তাকে ধরতে হলে ওর অনুমতি নিতে হবে- এমন হলে চলবে না। এমন আইন করতে হবে, যাতে দুদক স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারে। দুদককে নখদন্তহীন করে রাখলে চলবে না।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা আইআরআই’র সাম্প্রতিক জরিপের প্রসঙ্গ টেনে গত বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, দেশকে সাফল্যের সঙ্গে’ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে পরিচালিত করার এতো সাহস ও শক্তি তিনি কোথায় পাচ্ছেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সততাই শক্তি, সততাই সাহস।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ওই বক্তব্যের সূত্র ধরে সুরঞ্জিত বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে হবে। নেত্রী দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন; আর বলছেন সততাই আমার শক্তি সততাই আমার সাহস। তিনি সততা করে যাবেন আর আমরা দুর্নীতি করে দেশকে এক নম্বরে নিয়ে আসব এটা হবে না।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজকে স্মরণ ও চলমান রাজনীতি নিয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বিএনপির রাজনীতিরও সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।তিনি বলেন, বিএনপি সংবিধানের বিধান বাদ দিয়ে চলছে।

বিএনপি নেতাদের মুখে সংবিধান নিয়ে কোনো মন্তব্য মানায় না। কারণ সংবিধান ধ্বংস করে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। তবে মার্শাল ল’ নিয়ে তারা কোনো অভিমত দিলে সেটা ঠিক আছে। তাদের কাছ থেকে সংবিধান নিয়ে পরামর্শ নেওয়া বা কথা শোনা বাতুলতা।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন।অন্যদের মধ্যে প্রয়াত এমএ আজিজের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার ওমর বিন আব্দুল আজিজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক নুরুল আমিন রুহুল, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন চৌধুরী ও বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি বক্তব্য দেন।