দৈনিকবার্তা-হবিগঞ্জ, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার। দিবসটি উপলক্ষে তার জন্মস্থান হবিগঞ্জ ও ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ছিদ্দিক আলী, আবদুর রহিম ও আবুল হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।এদিকে হবিগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন এবং কিবরিয়া স্মৃতি সংসদের নেতাকর্মীরা বুধবার।জেলার বৈদ্যেরবাজার এলাকার কিবরিয়া স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।মরহুম কিবরিয়ার পরিবারের সদস্যরা সকাল ৯ টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।
শাহএএমএস কিবরিয়া ১৯৩১ সালের ১ মে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার জালালশাপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শাহ ইমতিয়াজ আলী শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন। মেধাবী ছাত্র কিবরিয়া ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে সম্মান ডিগ্রি এবং ১৯৫৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় প্রধম স্থান অর্জন করে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৫৩ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি একজন সফল কূটনৈতিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারীও ছিলেন।মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি তার ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গঠন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনর্গঠনের কাজে যোগ দেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মনোনীত হন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন।২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। কিবরিয়া একজন খ্যাতিমান লেখকও ছিলেন। তার বহু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার সম্পাদনায় মৃদুভাষণ নামে একটি ম্যাগাজিনও প্রকাশিত হতো।