দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬: সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক,ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতাকে গুম করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। দলের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এ বাণী গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।বাণীতে খালেদা বলেন, ২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে তদানীন্তন পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে পরিণত হয়েছিল গণঅভ্যূত্থানে। পতন নিশ্চিত হয়েছিলো স্বৈরশাসকের। আর এরই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ।গণঅভ্যূত্থানের মূল মানস বা মেজাজ ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম, বহুমত ও চিন্তার চর্চা ও মানুষের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়া।
বাণীতে আরও বলা হয়েছে, আমাদের জাতীয় জীবনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিবস আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সব অন্যায় অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়।এ মহান দিনে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।এদিকে, ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার দলের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান আমাদের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এ দিনে ছাত্র-জনতার দৃঢ় ঐক্য দীর্ঘ আন্দোলনকে গণঅভ্যূত্থানে রূপ দিয়েছিলো। স্বৈরশাসনের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিলো। দেশের গণতন্ত্র ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় গণঅভ্যূত্থান দিবস আমাদের প্রেরণার উৎস। উনসত্তরের গণআন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন মির্জা ফখরুল।