earsad-1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী চাইলে জাতীয় পার্টি মন্ত্রিপরিষদ থেকে বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।শনিবার দুপুরে বনানী কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ জাপা কার্যালয়ে দলের উপদেষ্টা পরিষদ, প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে করেন এরশাদ। এরশাদ বলেন, আওয়ামী লীগ তার নিজের প্রয়োজনে, নির্বাচনের প্রয়োজনে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করবে।এরশাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে সম্মানীত করেছেন। এখন হুট করে আলোচনা ছাড়া পদ ছেড়ে দিতে পারি না। আমরা আশা করি দলের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সহযোগিতা করবেন।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি রাজনীতি পরিষ্কার করা দরকার। একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দলে একতা জরুরি। জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে জাতীয় পার্টির এমপিরা সরকারের প্রশংসা করার প্রসঙ্গ টেনে এরশাদ বলেন, এমপিরা সরকারের যেভাবে প্রশংসা করেছেন এতে সরকারই লজ্জা পেয়েছে। তিনি বলেন, জিএম কাদেরকে জনগণের কাছে পাঠিয়েছি। জনগণ আমার চেয়ে তাকে বেশি গ্রহণ করেছে। জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, নিজেদের প্রয়োজনেই জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করবে আওয়ামী লীগ। আমরা আর মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবি করবো না। সরকারের হাতে আরো তিন বছর সময় আছে। এ সময়ের মধ্যে আমরা দলকে শক্তিশালী করবো।

এরশাদ বলেন, আমার বিশেষ দূত পদে এবং মন্ত্রীপরিষদে দলের প্রতিনিধিত্ব থাকা না থাকার বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর উপর। তিনি আমাকে সম্মান দেখিয়ে বিশেষ দূত পদ দিয়েছেন, পতাকা দিয়েছেন, আমি উনাকে না জানিয়ে এ পদ ছাড়তে পারি না, তাহলে বিষয়টি অসম্মানজনক দেখায়।এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার খুব কষ্ট হয়, আমার সাংসদরা সংসদে দাঁড়িয় যখন জয় বাংলা’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। আমাদের স্লোগানতো ‘জয় বাংলা’ নয়, আমাদের স্লোগান ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। আর ‘জয় বাংলা’ বললেই যে সাংসদরা আকাশে উঠে যাবে তাওতো নয়। জাতীয় পার্টির অবস্থান বিশ্লেষণ করে এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষমতায় যেতে পারি বা না পারি আমরা একটা অবস্থানে যাবো। আমরা চেষ্টা করব ক্ষমতায় যাওয়ার। এতোদিন আমাদের রাজনীতি পরিস্কার ছিল না, কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল।তিনি বলেন, একটি সিদ্ধান্তের কারণেই আজ জাপার রাজনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে জাপা বিভিন্ন মিডিয়ায় শিরোনাম হয়েছে। দেশবাসীর কাছে জাতীয় পার্টি একটি আলোচনার বিষয় হিসেবে চলে এসেছে। সভায় জিএম কাদের, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলে