khondokar_mosharroff_dudok

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ জানুয়ারি ২০১৬: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলায় অভিযোগ গঠন আদেশ বাতিলে আনা আবেদন বুধবার খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আনা আবেদন ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে বুধবার খারিজ করে আদেশ দেয়। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ কথা বলেন।এ আদেশের ফলে খন্দকার মোশারফের বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। আদালতে মোশারফের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। দুনীর্তি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন এডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর অর্থপাচারের মামলায় ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-অভিযোগ গঠন করে। পরে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. খন্দকার মোশাররফ।খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় হাইকোর্টের শর্তসাপেক্ষে জামিন আদেশ আপিল বিভাগে বহাল থাকায় তিনি কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন। দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান জানান, জামিনের শর্তের মধ্যে রয়েছে- খন্দকার ে মাশাররফের পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দিতে হবে। তার যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, সেই হিসাবে কোনো লেনদেন করা যাবে না। তিনমাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে মামলাটির বিচার শেষ করতে হবে। মামলাটির বিচার দীর্ঘায়িত করতে আসামিপক্ষ কোনো অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিলে বিচারিক আদালত ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জামিন বাতিল করতে পারবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক নাসিম আনোয়ার ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন । মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রায় ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী থাকাকালে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দেশের বিদ্যমান আইন না মেনে পাচার করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লয়েডস টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকিংয়ে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথনামে ফিক্স টার্ম ডিপোজিট’ নামের হিসাবে আট লাখ চার হাজার ১৪২ দশমিক ১৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। ১১৮ দশমিক ৬৩ টাকা হারে ওই জমা করা ব্রিটিশ পাউন্ডের বাংলাদেশি মূল্যমান ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। বিদেশে জমা করা এ অর্থের বিষয়ে সম্পদ বিবরণী কিংবা আয়কর বিবরণী নথির কোথাও তিনি উল্লেখ করেননি। বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খোলার বিষয়ে ড.খন্দকার মোশাররফ বা তার স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে কোনো অনুমোদন নেননি বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।মামলা হওয়ার পর তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও আপিল বিভাগ পরে তা বাতিল করে দেয়। এরপর ২০১৪ সালের ১২ মার্চ গুলশানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।