দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬: অভিভাবকদের আন্দোলনে বর্ধিত বেতন ও ফি আদায় বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ টাকা জমা নেওয়া স্থগিত করেছে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার কর্তৃপক্ষের দেওয়া এক নোটিশে বলা হয়, “সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত নতুন এবং পুরাতন সকল শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যাংকের টাকা জমাদান স্থগিত থাকবে।কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন নোটিশের বিষয়ে বলেন, আমরা ভর্তি ও বেতনের টাকা বাড়িয়েছি- সেটা গোপন নয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের ওপর ভিত্তি করে আপাতত টাকা জমা নেওয়া স্থগিত রাখা হয়েছে।নতুন বেতন কাঠামোতে সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ার যুক্তি দেখিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের বেতন এবার ব্যাপক হারে বাড়ানোর প্রতিবাদে অভিভাবকরা রাস্তায় নেমে এলে বর্ধিত বেতন ও ফি আদায় বন্ধে রোববার নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা অনুযায়ী সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা সাপেক্ষে বেতন ও ফি নির্ধারণের আগ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বর্ধিত বেতন ও ফি আদায় বন্ধ রাখতে বলা হয়।এর আগে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বেশকটি বেসরকারি স্কুলের ভর্তি ও বেতন ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন অভিভাবকরা।গত দুই সপ্তাহ ধরে তারা মানববন্ধন, শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়াসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।
রাজধানীর স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু অভিযোগ করেন, শুধু উইলস লিটল ফ্লাওয়ার নয়, অনেক স্কুলে নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি একলাফে দ্বিগুন হয়ে গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ভর্তি ফি ও বেতন জমা নেওয়া বন্ধে নোটিশ দেওয়া হলেও এতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন।তিনি বলেন, শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বেতন বাড়ানো না হলে আগামী মাস থেকে তারা কর্মবিরতিতে যাবেন। এখন আমি পড়েছি উভয় সংকটে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনায় এই সংকট কেটে যাবে আশা প্রকাশ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বলেন, “সবই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনার ওপর অপেক্ষা করছে।