দৈনিকবার্তা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহপাঠীর মৃত্যু পরবর্তী সহিংসতায় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা জড়িত নয় বলে দাবি করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। শুক্রবার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মুফতি মোবারক উল্লাহ।তিনি বলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা নয়, দুষ্কৃতকারীরাই মাদ্রাসা ছাত্রদের নামে এই হামলা চালিয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সহিংসতার ঘটনায় এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ জেলা সদর হাসপাতাল, রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলার ঘটনায় মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য রক্ষার আহবানও জানান তিনি।মাদ্রাসা ছাত্র মাসুদুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, সোমবার রাত ১১টায় মাদ্রাসার চতুর্থ তলায় উঠে মাদানি ছাত্রাবাসে পুলিশ হামলা চালায়।পরে তাকে রাইফেল থেকে গুলি করে চারতলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয় বলে দাবি করে অধ্যক্ষ মোবারক বলেন, প্রথমে মাসুদকে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে কোনো মাদ্রাসা ছাত্র সহিংসতায় জড়িত থাকলে তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।তিনি এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।মঙ্গলবার সংঘর্ষে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব চালায় তার সতীর্থরা। ওই সময় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ও ভাংচুর হয়েছে। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ভাংচুরের পাশাপাশি সুর সম্রাটের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও পুড়িয়ে দেয় মাদ্রাসার ছাত্ররা।ভাংচুর করা হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের ব্যাংক এশিয়া এবং প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তালিমিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান আশেকে এলাহী ইব্রাহিমি, নাজিমাত তালিমাত মুফতি শামছুল হক, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দেস মুফতি আবদুর রহিম কাসেমী প্রমুখ।