12-01-16-PM_Addressing To Nation-1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ জানুয়ারি ২০১৬: ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচন ঠেকানোর নামে এবং তা না পেরে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত জোট যে সহিংসতা ও তাণ্ডব চালিয়েছে তার সঙ্গে শুধুমাত্র একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকার আলবদরদের তাণ্ডবের সঙ্গেই তুলনা চলে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২

০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়লাভের পর ওই বছরের ১২ জানুয়ারি টানা দ্বিতীয়বারের মত সরকার গঠন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ বাংলাদেশের টেলিভিশন বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলে এক যোগে সম্প্রচারিত হয়। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে গুরত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভাষনে জাতীয় রাজনীতি পৌর নির্বাচন, সংহিংস রাজনীতি ও জড়িতদের বিচার, যুদ্দাপরাধীদের বিচার জাতীয় ও আন্তজার্তিক অঙ্গনে বাংলাদেশর অগ্রগতি, পদ্মাসেতু, অর্থনীত, মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা, আইনের শাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ, শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেয় আওয়ামীগের মহাজোট সরকার ।টানা দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতারোহনের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেয়া ভাষণে জনগণকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আজ ১২ জানুয়ারি। ২০১৪ সালের এই দিনে আপনাদের সমর্থনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমি আপনাদের দো’য়ায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করি।বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ, জেলখানায় নিহত চার জাতীয় নেতা, মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের পাশাপাশি বিএনপি জামায়াতের তাণ্ডবে নিহতদের স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি-জামাত জোট সারাদেশে যে ঘৃণ্য ও পৈশাচিক সন্ত্রাস চালায় তা কোনদিন বিস্মৃত হওয়ার নয়। তাদের এই নৃশংসতা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনা ও তাদের দোসরদের নির্মমতার সাথেই কেবল তুলনা করা যায়। জামাত-বিএনপি জোটের সহিংসতায় যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। আহতদের জন্য আন্তরিক সহানুভূতি।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমার শিকার হয়ে নিরীহ বাসড্রাইভার, বাস-টেম্পো-সিএনজি যাত্রী, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ-বিজিবি-আনসার, সেনাবাহিনীর সদস্য, এমনকি স্কুলের শিক্ষক ও শিশুও নিহত হয়েছেন। অনেকে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন, জীবনের তরে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছেন।

সন্ত্রাস বোমাবাজি উপেক্ষা করে সেদিন আপনারা গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিলেন। কিন্তু গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিএনপি-জামাত নেতৃত্ব সহ্য করতে পারে না। মানুষ শান্তিতে থাকবে, হাসি মুখে জীবনযাপন করবে তা ওদের সহ্য হয় না।সারাবিশ্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোলমডেল, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা যখন বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ডিজিটাইজেশন, এমডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জন, জলবায়ুর প্রতিকূল প্রভাব মোকাবেলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও পুরস্কারে ভূষিত করছে, তখনই ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে বিএনপি জামাত আবারও দেশে সন্ত্রাস, সহিংসতা শুরু করে।এ সময় বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং বিএনপি নেত্রী আদালত হাজিরায় অনুপস্থিত থাকার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামাত অনির্দিষ্টকালের অবরোধ শুরু করে সারাদেশে তাণ্ডব ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।

পেট্রোলবোমায় ২৩১ জন নিরীহ মানুষ নিহত এবং ১ হাজার ১৮০ জন আহত হয়। ২ হাজার ৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি রেল গাড়ি ও ৮টি লঞ্চে আগুন দেয়া হয়। পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে ৭০টি সরকারি অফিস ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং ৬টি ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।এসবের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে দায়ী করে বলেন, জনগণকে ভোগান্তিতে রেখে, অমানবিক কষ্ট দিয়ে তাদের জীবন বিপন্ন করে বিএনপি নেত্রী নাটক করে ৬৮ জনকে নিয়ে আরাম আয়েশে ৯২ দিন অফিসে থাকেন। হত্যাযজ্ঞ ও তাণ্ডবের হুকুম দেন। তার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জনসমর্থন পায়নি। ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে নাকে খত দিয়ে বাড়ি ফিরে যান।এ সময় তিনি বিএনপি জামাতের কর্মসূচিতে সমর্থন না দেয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই বিএনপি-জামাতের অনৈতিক অবরোধ কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করায়।এছাড়া এসব ঘটনায় জড়িতরা পার পাবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নি-সন্ত্রাসীদের আটক করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিচার কাজ চলছে। যারা আপনাদের আপনজনকে কেড়ে নিয়েছে, জানমালের ক্ষতিসাধন করেছে সেই অপরাধীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিতে চাইলেও তাতে বাধা দিচ্ছে বিএনপি। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি-জামাত জোট সারাদেশে যে ঘৃন্য ও পৈশাচিক সন্ত্রাস চালায়, তা কোনোদিন বিস্মৃত হওয়ার নয়।তাদের এই নৃশংসতা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনা ও তাদের দোসরদের নির্মমতার সাথেই কেবল তুলনা করা যায়।সন্ত্রাস- বোমাবাজি উপেক্ষা করে সেদিন আপনারা গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিলেন। কিন্তু গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিএনপি-জামাত নেতৃত্ব সহ্য করতে পারে না। মানুষ শান্তিতে থাকবে, হাসিমুখে জীবনযাপন করবে, তা ওদের সহ্য হয় না, বলেন শেখ হাসিনা।

সরকারের এক বছর পূর্তিতে ২০১৫ সালে লাগাতার অবরোধ ডেকেছিল বিএনপি জোট। তিন মাসের ওই অবরোধে নাশকতায় শতাধিকত মানুষের মৃত্যু হয়, পোড়ানো হয় বহু গাড়ি, স্থাপনা।উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতেই ওই কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং বিএনপি নেত্রী আদালত হাজিরায় অনুপস্থিত থাকার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামাত অনির্দিষ্টকালের অবরোধ শুরু করে সারাদেশে তাণ্ডব ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। পেট্রোলবোমায় ২৩১ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৮০ জন আহত হওয়ার তথ্য তুলে ধরেন সরকার প্রধান। এছাড়া ২ হাজার ৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি ট্রেন ও ৮টি লঞ্চে আগুন দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।জনগণকে ভোগান্তিতে রেখে, অমানবিক কষ্ট দিয়ে তাদের জীবন বিপন্ন করে বিএনপি নেত্রী নাটক করে ৬৮ জনকে নিয়ে আরাম আয়েশে ৯২ দিন অফিসে থাকেন। হত্যাযজ্ঞ ও তাণ্ডবের হুকুম দেন, বলেন হাসিনা।সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জনসমর্থন পায়নি বলে ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন নাকে খত দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

এই নাশকতায় জড়িতদের ছাড় না দেওয়ার ঘোষণাও আবার দেন সরকার প্রধান। অগ্নি-সন্ত্রাসীদের আটক করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিচার কাজ চলছে। যারা আপনাদের আপনজনকে কেড়ে নিয়েছে, জানমালের ক্ষতিসাধন করেছে, সেই অপরাধীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। ডিজিটাল দেশ বিনির্মাণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সচেতন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের চিত্র তুলে দরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও যশোরে হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। বিভাগীয় শহরে সিলিকন সিটি স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়াও শুরু হয়েছে।তিনি বলেন, ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল তথ্য বাতায়ন চালু করেছি, যা আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারে এখন ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। থ্রিজি সেবা চালু করা হয়েছে। এবছরই ফোর জি চালু করা হবে।এসময় দেশের আট হাজার পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তরের কাজ এগিয়ে চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, গত ৭ বছরে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০০ ধরনের ডিজিটাল সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের মাসিক আয় ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা।বাংলাদেশে এখন মোবাইল সিম গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি। ইন্টারনেট গ্রাহক ৫ কোটি ৭ লাখ ৭ হাজারের বেশি। আশা করছি ২০১৬ সালেই মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হবে।

রাশিয়ার সহায়তায় ১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প- রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।খাদ্যে দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতার চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বাংলাদেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ আবারও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে।তিনি বলেন, মৎস্য উৎপাদন বেড়ে ৪৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে চতুর্থ। আমরা এখন চালও রপ্তানি শুরু করেছি।

শিক্ষার উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৪ শতাংশে এনেছিল। দেশের বর্তমানে শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ।আওয়ামী লীগ সরকার ৭ বছরে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ১৯২ কোটি বই বিতরণ করেছে।বছরের প্রথমে নতুন বই তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবছরের পহেলা জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রায় ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭২২টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। প্রাথমিক থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ১ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং সরকারি করা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকরি। দেশে ২৩ হাজার ৩৩১টি মাধ্যমিক স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সব স্কুলে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ চালু করা হবে জানিয়ে শিক্ষাখাতে নানা সফলতার কথা তুলো ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায়। সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। মানুষ বিনামূল্যে ৩২ পদের ওষুধ পাচ্ছেন।এ পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজারের বেশি ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিয়েছি। আরও ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। ২০০৬ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৬.৫ বছর, এখন বেড়ে হয়েছে ৭১ বছরের বেশি। শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুর হারও হ্রাস পেয়েছে।তিনি বলেন, নতুন ১১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ চালু করা হয়েছে।

দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী ১ লাখ পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সব দরিদ্র পরিবারের মধ্যে এই কার্ড বিতরণ করা হবে।নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করেছি। বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার সেনসিটিভ বাজেট হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারে নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। বাংলাদেশ এবারও লিঙ্গ সমতায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদে নারীর অবস্থানের দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘উইমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল ফোরাম এর সম্মানসূচক ‘ডব্লিউআইপি ২০১৫’ পদক পেয়েছে বাংলাদেশ। জাতীয় সংসদকে সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। বিরোধীদলকে ধন্যবাদ, তারা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অভিমত দিচ্ছেন, আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।গণকর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স ৫৯ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারিদের ৬০ বছর করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,সামরিক-অসামরিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পদমর্যাদা বৃদ্ধি ও ব্যাপক পদোন্নতির সুযোগ করে দিয়েছি। প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ইতিহাসের বৃহত্তম নির্মাণ প্রকল্প পদ্মাসেতুর কাজ চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি- জিডিপি’র ভিত্তিতে বিশ্বে ৪৫তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩৩তম স্থান অধিকার করেছে। সেভ দ্যা চিলড্রেনের মাতৃসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম, ভারতের ১৪০ এবং পাকিস্তানের ১৪৯তম। অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকনমিকস অ্যান্ড পিসের বিশ্বশান্তি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম, ভারতের ১৪৩তম এবং পাকিস্তানের ১৫৪তম। ইকোনমিস্টের ইনটেলিজেন্স ইউনিটের গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৫তম আর পাকিস্তানের অবস্থান ১০৮তম। শেখ হাসিনা বলেন, গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এর আগের ৫ বছরে গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। বিশ্ব অর্থনীতিতে অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। এছাড়া বিশ্বের খুব কম দেশই একটানা এতো দীর্ঘ সময় ধরে ৬ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে। অচিরেই প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ৫ কোটি মানুষ নিম্ন-আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছেন। দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। ২০০৬ সালে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ২ শতাংশ। তা এখন ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান বেড়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে দেড় কোটি মানুষের চাকরি দিয়েছি।বিদেশে কর্মসংস্থান বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সময়ে ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৩৪৮ জন কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ ২০০৬ সালে রেমিট্যান্স আয় ছিল মাত্র ৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।রফতানি আয় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৩২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৬ সালে গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ছিল মাত্র ১৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১৫ সালে গ্যাস উৎপাদন গড়ে দৈনিক ২ হাজার ৭২৮ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। ১৬টির কাজ চলছে।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ১ দশমিক ২% হারে অবদান রাখবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ শিল্প স্থাপনা বাড়বে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের মিডিয়া সম্পূর্ণ স্বাধীন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারছে।২০০১ পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ ছিল বাকস্বাধীনতা হরণের দেশ, সাংবাদিক নির্যাতনের দেশ।সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সহায়তায় এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বেসরকারি ৩২টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদনের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাসহ তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

দুর্নীতি দমনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করেছি। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের গৌরবময় অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ এখন একটি ব্র্যান্ড নেম।বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি’র কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শান্তি এবং সহ-অবস্থানে বিশ্বাসী। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল বৈশিষ্ট্য সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলনীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন পথ রচনায় সক্ষম হয়েছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আমরা ভারতের সাথে স্থলসীমানা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান ও ৫২ হাজার ছিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের মানবেতর জীবনের অবসান, মায়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ সমাধান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান এই চার দেশের মধ্যে মোটর ভেহিক্যাল চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।বক্তব্যে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের বিভিন্ন সফলতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এমডিজি ১ থেকে ৬ অর্জন করেছি। বাংলাদেশ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবং ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি’ পুরস্কার পেয়েছে। এমডিজির মত আমরা জাতিসংঘ গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করায় জাতিসংঘ আমাকে পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এ সম্মান আমি আপনাদের উৎসর্গ করলাম। তথ্য প্রযুক্তি প্রসারের জন্য আইটিইউ আমাদের ‘আইসিটি ইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ প্রদান করেছে।বাংলাদেশের প্রতিনিধির জাতিসংঘে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়া, ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে ‘ইউনেস্কো ক্যাটাগরি-২ ইনস্টিটিউট’-এর মর্যাদা প্রদান এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধির ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদের সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা নিজের বক্তব্যে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। খেলাধুলায় বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করেছি। খেলাধুলায় নারীদের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মেয়েরা এএফসি অনুর্ধ্ব-১৪ ফুটবলে আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। জাতীয় নারী ক্রিকেট দল জায়গা করে নিয়েছে আগামী বছরের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটাক্ষকারী খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঘৃণ্য বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে পপ্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। যারা দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। দেশ যখন উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা আবারও অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। কেউ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওয়াদা ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, রায় কার্যকর করা হচ্ছে, কেউই বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির আসল উদ্দেশ্য হলো জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া, যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যাকারী, রাজাকার-আলবদরদের রক্ষা করা। পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, গত সপ্তাহে শান্তিপূর্ণভাবে ২২৩টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ নির্বাচন ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ।নির্বাচনে আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করেছেন, জঙ্গি ও পেট্রোল বোমাবাজদের প্রত্যাখ্যান করেছেন, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই