দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ জানুয়ারি ২০১৬: আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক উগ্র জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীদের শপথ গ্রহণ করতে হবে।ওবায়দুল কাদের শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১১ জানুয়ারী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করার লক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির আন্দোলন নয়, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ আওয়ামী লীগের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বিএনপির আন্দোলন আওয়ামী লীগের কোন দুশ্চিন্তা নয়, সাম্প্রদায়িক উগ্র জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।তিনি বলেন, গত সাত বছরে বিএনপি আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়েছে। আন্দোলনের শক্তি, সাহস এবং জনগণ তাদের সাথে নেই, এটি প্রমান হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাইরে থেকে কেউ আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকব এটাই আমাদের শপথ।তিনি বলেন, আমরা আমাদের ক্ষতি না করলে বাইরের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার বইবে না।কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জানে কিভাবে আন্দোলন করতে হয় আর জনসভাকে সফল করতে হয়। আর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগও জনসভা সফল করার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত। আশা করি ঐতিহাসিক দিনের এ জনসভা ঐতিহাসিক জনসভা হবে।মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কটুক্তি করেছেন, তার জন্য ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত দেশে তার রাজনীতি করার অধিকার নেই।
দেশের বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুরো জাতি যখন বেগম খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের মুখপাত্র হিসেবে ধিক্কার জানাচ্ছে। তখন বিএনপি মার্কা কতিপয় বুদ্ধিজীবীর বেগম জিয়ার পক্ষে সাফাই গাওয়া জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর।হানিফ বলেন, জনগণের ওপর বিএনপি জামায়াতের হামলার জবাব জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে দিয়েছে। আর এ জন্যই পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে।আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, বিএনপির বর্তমান সরকারের অধীনে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের পর সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার বিএনপির নেই।তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটদানে বাধা দিয়ে দেশে ভোটাধিকার হরণ করার ষড়যন্ত্র করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের জন্য বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণ উপস্থিত ছিলেন।