দৈনিকবার্তা-ঝিনাইদহ, ০৯ জানুয়ারি ২০১৬: ঝিনাইদহে হোমিও প্যাথীক চিকিৎসক ছমির উদ্দিন মন্ডল হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আাইএস’র দায় স্বীকার । এলাকায় মানুষের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। প্রশাসনের দাবী তিনটি বিষয়কে ঘিরে হত্যাকান্ডের তদন্ত চলছে। তবে তারা নিশ্চিতভাবে বলছে না এ হত্যাকান্ডের সাথে আইএস জড়িত আছে কিনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিনি কালুহাটি গ্রামের নিজ বাড়িতে আলাদা টিন শেডের ঘরে একলাই থাকতেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি তার চেম্বারে আসেন । অন্যান্য দিনের মতো নানান ধরনের মানুষ তার কাছে আসে। তবে কে বা কারা এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে তা এলাকার মানুষের কাছে এক রহস্য হয়েই রয়েছে। কিন্তু পরিবারের লোকজন ও আত্মিয় স্বজনের অনুরোধে সামাজিক কারনে নিজ বাড়িতে তাকে মুসলিম হিসাবে দাফন করা হয়।এদিকে ধর্মান্তরিত হয়ে খৃষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়ে ধর্ম প্রচার করায় মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্টী তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ ওয়ান ওয়ে চার্চ এর ধর্মযাযকরা। মিশনারীজ দাবী করেন,‘২০০১ সালে তিনি খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহন করেন।তিনি আরো বলেন,নিহত ছমির উদ্দিন ঝিনাইদহের রঘুনাথপুর চার্চ এর ও,ডাব্লু,সি,বি এর দায়িত্বরত ড়ৃুটডপ ছিলেন।
উল্লেখ্য ছমির উদ্দিন মন্ডল নামে ৮৫ বছরের এক হোমিও চিকিৎসককে চুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার বেলেখাল বাজারে নিজ হোমিও প্যাথ চেম্বারে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ছমির উদ্দিন মন্ডল কালুহাটি গ্রামের সুরোত আলী মন্ডলের ছেলে।বিকালে স্থানীয় লোকজন ও রুগিরা তার চেম্বারে এসে দেখেন ডাক্তার চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন। অনেক ডাকা-ডাকির পর শরীরে রক্ত ও বুকে ছুরিকঘাতের সুস্পষ্ট চিহ্ন দেখে তারা নিশ্চিত হয় এটি একটি হত্যাকান্ড। এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান,জানান, ধর্মান্তরিত হয়ে খৃষ্টান ধর্মে দীক্ষিত, পুর্ব শত্র“তা বা জমি সংক্রান্ত বিরোধ এ ৩ টি বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে। নিহতের ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।