দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫: টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমা মাঠের প্রস্তুতি কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) থেকে ৩দিন ব্যাপী প্রথম পর্বের এ বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ৪দিন বিরতি দিয়ে ১৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) থেকে আবার শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব এজতেমা। প্রথম বারের মতো এবারের বিশ্ব এজতেমা ৩২টি জেলা নিয়ে দু’পর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে অবশিষ্ট ৩২টি জেলা পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে দু’পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এজতেমা মাঠের ব্যাপক প্রস্তুতিতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ও আশপাশের জেলা হতে তাবলীগ অনুসারী মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, এজতেমা মাঠের ৯০ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় এক বর্গ কিলোমিটারের বিশাল মাঠটিকে বাঁশের খুটির উপর চটের ছাউনী দিয়ে আবৃত করা হয়েছে। তাবলীগ অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই প্যান্ডেলের নীচে অবস্থান করবেন। বিদেশী মুসল্লীদের জন্য আলাদা ভাবে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সাধারণ মুসল্লীরা নিজেদের খরচে খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। গোসল ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য সরকারী পর্যায়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও সেনা বাহিনীর একটি বিশেষ ইঞ্জিয়ারিং কোর এজতেমা মাঠের উন্নয়ন ও তুরাগ নদীতে ভাসমান সেতু নির্মান করছে মুসল্লীদের সুবিধার জন্য। এ দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বি.আর.টি.সি মুসল্লীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেন ও বাস সার্ভিস চলাচলের ব্যবস্থা করেছে। এগুলো ৬ জানুয়ারি থেকে চলাচল শুরু হবে।
তাবলীগ জামাতের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বী বৃহস্পতিবার জানান, বিশ্ব এজতেমায় মুসল্লীদের সমাগন দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় দু’পর্বে এজতেমা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভবিষ্যতে মুসল্লীদের সমাগম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিশ্ব এজতেমা তিন পর্বে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে। তবে প্রথম বারের মতো এবারের (২০১৬ সালে) বিশ্ব এজতেমা ৩২টি জেলা নিয়ে দু’পর্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে অবশিষ্ট ৩২টি জেলা পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে দু’পর্বে অনুষ্ঠিত হবে।এদিকে শিল্প মালিক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অবিভাবক ও সাধারন তাবলীগ অনুসারী মুসল্লীরা টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমা পূর্বের মতো এক পর্বে অনুষ্ঠানের দাবী জানিয়েছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত তিন বছর যাবত দু’পর্বে বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠানের ফলে টঙ্গী শিল্প এলাকার জন জীবন পুরোটাই ১৫দিন ধরে স্থবির হয়ে পড়ে।