24110

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫: ২০১৫ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৫ হাজার ৩ জন। এর আগের বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ৬ হাজার ৫৮২ জন। এ হিসাবে গত বছরের তুলনায় এ বছর মৃত্যুর হার কমেছে ১৮ শতাংশ।বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ)সাগর-রুনি মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ২০১৫ সালের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে মোট ২ হাজার ৬২৬টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৬ হাজার ১৯৭ জন, যাদের অনেকেই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। ২০১৪ সালে ২ হাজার ৭১৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ১০ হাজার ৭৭০ জন।

নিসচার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক, প্রথম আলো, যুগান্তর, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডেইলি স্টার পত্রিকার রিপোর্ট, স্থানীয় অঙ্গসংগঠনগুলোর রিপোর্ট, টিভি চ্যানেল, অনলাইন পত্রিকার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও অনেক আঞ্চলিক তথ্য অপ্রকাশিত রয়েছে যা কোনো মিডিয়ায় উঠে আসেনি।এ বছরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৯ এপ্রিল ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গাছের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ২৫ জনের প্রাণহানি, ২২ মে পঞ্চগেড়ে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু, ২৩ মে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১০ ও আহত ৫০, ২৫ মে গাজীপুরে যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ৭, এ ছাড়া ১৫ জুন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একই পরিবারের ৪ জন ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে একই পরিবারের ৫ জনের প্রানহানির ঘটনা।

কাঞ্চন বলেন, ২০১৫ সালের বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে হাইওয়েতে। ছোট ছোট অবৈধ যানবাহন ভ্যান, রিকশা, নসিমন, অটোরিকশা ইত্যাদিকে এজন্য বেশি দায়ী করা হয়।এ সমস্ত ধীর গতির গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করে দূরপাল্লার বড় গাড়িগুলোর চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।নিসচার চেয়ারম্যান সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ যাত্রীবিমাকে বাধ্যতামূলক করতে সরকারের নিকট দাবি জানান। সড়ক দুর্ঘটনার কারণ, পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদন তৈরি করতে মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা একটি সেল তৈরির জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান তিনি।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব শামীম আলম দীপন, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হক কামাল, এ কে ফজলুর রহমান প্রমুখ।