দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫: ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের রায় দ্রুত হওয়া দেশে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিচ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো যেসব মামলা বিচারাধীন সেগুলোরও দ্রুত নিস্পত্তি করা হবে।মন্ত্রী আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাদের সন্ত্রাসী বা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা হলেও দল বা সংগঠন হিসেবে কোনো রাজনৈতিক দলের বিচার করা হয়নি।মানবতাবিরোধী অপরাধে রাজনৈতিক দলের বিচারের জন্য সংশোধিত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের খসড়া আগামী মার্চ মাসে মন্ত্রিসভায় তোলা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সংসদে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার বলেছেন, আইনটির সংশোধনীর খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই যাবে মন্ত্রিসভায়। এরপর মন্ত্রিসভা বিলটিতে অনুমোদন দিলে পাসের জন্য সংসদে যাবে।এদিকে, ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। রাজীবের আত্মস্বীকৃত খুনিদের সর্বোচ্চ সাজা না হওয়ায় শাহবাগে বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করবে গণজাগরণ মঞ্চ। এ ছাড়া নিহত রাজীবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোক প্রজ্জ্বলন করা হবে।বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টায় ইমরান এইচ সরকার বলেন, এ রায় প্রত্যাখ্যান করছি। কেননা এ রায়ে আত্মস্বীকৃত খুনিদের সর্বোচ্চ দণ্ড দেয়া হয়নি। তা ছাড়া ঘটনাগুলোর নির্দেশদাতার শাস্তি কীভাবে ৫ বছর হয়, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।
আমি মনে করি, এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।এর আগে বহুল আলোচিত ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় দেন আদালত।এ ছাড়া একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান শায়খুল হাদীস মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরেই এ রায় দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে মাকসুদুল হাসান অনিককে। বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রাহমানি, মো. এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ, নাফিজ ইমতিয়াজ ও সাদমান ইয়াছির মাহমুদ।