দৈনিকবার্তা-ঠাকুরগাঁও, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫: পৌর নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তফসিল ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বিএনপির ছয় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তারা বাংলাদেশকে আজ কারাগারে পরিণত করেছে। কথায় কথায় আমাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এখানে ন্যায়বিচার নেই, নেই ইনসাফ। দেশে কঠিন দুঃসময় চলছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছে। যাঁরা দ্বিমত পোষণ করেন, তাঁদের নির্মূল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। শুধু ঠাকুরগাঁওয়েই আট হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখনো কারাগারে আছেন ৫০ জন নেতা। নির্বাচনকে ঘিরে এ হয়রানির মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।
আজ শুক্রবার ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় তিনি গণসংযোগ ও পথসভা করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল নির্বাচনে মেয়র পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তার নির্বাচনী প্রচারনায় নেমে শহরের সত্যপীর ব্রিজ এলাকায় পথসভায় বিএনপি নেতা মির্জা আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন ও ‘শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং দলীয় প্রতীকের পৌর নির্বাচনকে আন্দোলনের ধাপ হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রমাণ করতে চাই, জনগণ সরকারের পক্ষে নেই। সরকার ভেবেছিল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, এই সরকারের আমলে আলেম ও রাজনৈতিক কর্মী নিরাপদ নন। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষও ভোট দেয়নি। দেশের মানুষকে নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এই সরকারের পেছনে সাধারণ মানুষের কোনো সমর্থন নেই তবুও আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ গায়ের জোরে টিকে আছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রাণের প্রতীক ধানের শীষকে ভোট দিয়ে প্রমাণ করে দেবে এর জনপ্রিয়তা কত বেশি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে তড়িঘড়ি করে দলীয় প্রতীকে করানোর পিছনে সরকারের একটি দুরভিসন্ধি ছিল। সরকার মনে করেছিল ৫ জানুয়ারির মতো একটি নির্বাচন দিয়ে ধানের শীষকে পরাজিত করতে পারলে মানুষ মনে করবে যে নৌকার জনপ্রিয়তা অনেক। ওরা এই নির্বাচনে ধানের শীষকে পরাস্ত করে বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় যে, তাদের জনপ্রিয়তা আছে। কিন্তু ভোটারবিহীন নির্বচানে ক্ষমতায় আসা এই দলটিকে ভোটের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে।’
ফখরুল পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৩টি পথসভা করে ২০-দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান। নির্বাচনের সময়ে ভোটারদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন আপনাদের সজাগ থাকতে হবে, ভোটকেন্দ্রগুলোতে পাহারা দিতে হবে। ফলাফল হাতে নিয়ে তারপর কেন্দ্র থেকে বের হতে হবে এ সময় জেলা বিএনপির সহসভাপতি চৌধুরী মো. গোলাম সারোয়ার, শাহেদ কামাল চৌধুরী, মেয়র প্রার্থী মির্জা ফয়সল আমীন, মামুনুর রশীদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডালিম চৌধুরী, বিএনপির সহ-সভাপতি নম্র চৌধুরী, রঞ্জু চৌধুরীসহ সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শনিবার সকালে পীরগঞ্জ পৌরসভায় জনসংযোগের পর তিনি সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে জানা গেছে।