আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বর্তমানে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে চির বিদায় করে ন্যায় বিচারের দ্বার উন্মোচন করা হয়েছে। ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে । শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ সংলগ্ন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩০তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন সমিতির সভাপতি এ কে এম আফজাল উল মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস বিকৃতি এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্য বন্ধে আইন করার দাবি উঠেছে।সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহের হোসেন ভবন চত্বরে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩০তম সম্মেলন অনুষ্ঠানে এ দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।বিভিন্ন সময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে এ দাবি জানানো হয়। সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও দেন বিতর্কিত বক্তব্য।

পরে এ বিষয়ে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এটা নীতিনির্ধারণী ব্যাপার। যখন এরকম দাবি উঠেছে এবং এ সরকার জনগণের সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের মানুষ, তিনি নিশ্চয়ই বিষয়টি বিবেচনা করবেন।অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পাকিস্তান ৭১-এর গণহত্যার কথা অস্বীকার করে তাদের সেই বর্বরোচিত গণহত্যার চেয়েও বর্বর মিথ্যাচার করেছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বঙ্গবন্ধুর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন আইন বিভাগের একজন ছাত্র তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দাবির প্রতি সমর্থন দেয়ায় তাকে তৎকালীন পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বহিস্কার করেছিল। আইন সমিতির সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এবং শহীদদের মর্যাদা অক্ষুণœ রাখতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের আলোকে একটি আইন প্রণয়ন করার জন্য দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৪ বছর পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে বিরোধিতা করার কারণে পাকিস্তানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা বিষয়ক সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। পরে খান মো. আবদুল মান্নানকে সভাপতি ও এডভোকেট মো. আবু হানিফকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৬ সালের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।