দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫: পৌরসভা নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নেবে, আমরা তা সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করব।বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা বিসিএস অফিসার কল্যাণ সমিতি আয়োজিত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা ও বিজয় শীর্ষক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের যারা মদদ দেবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মদদ দেওয়ায় যদি এমপিও হন তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচনে তার মনোনয়ন অনিশ্চিত।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি দেউলিয়া হয়ে এখন নালিশের রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে।কথায় কথায় তারা শুধু নালিশ করছে।পৌরসভা নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানোর জন্য বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে নালিশ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত বিদেশিরা নেবে না, সেনাবাহিনী নামাতে হলে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলছেন খালেদা জিয়া পাগল হয়েছেন তার মতিভ্রম’ হয়েছে। বাস্তবতা হলো খালেদা জিয়া মতিভ্রম হননি। তিনি যে মন্তব্য করছেন তা জেনে শুনে বুঝে করেছেন। কারণ তিনি একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাস করেননি। তিনি বলেন, একাত্তরের গণহত্যা খালেদা জিয়া দেখেননি। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু সফল হবে না খালেদা বলেছেন অথচ বিশ্বব্যাংক স্বীকার করে নিয়েছে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। পদ্মাপাড়ে যে কর্মযজ্ঞ চলছে তা দেখলেই মনে হবে এটি স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। এ জন্য পদ্মা তীরে তিনি একবার ঘুরে আসতে পারেন।নির্বাচনের আগেই বিএনপি হেরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গত ৮টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। পৌর নির্বাচনও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনের আগেই হেরে গেছে। পৌর নির্বাচনে সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেয়ার কথা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না সরকার। সমস্ত নিয়ম নীতি মেনেই নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
এ সময় বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে নালিশ করে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি‘নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। কিন্তু তারা বিদেশি কূটনীতিকদের মাধ্যমে সেনাবাহিনী নামানোর দাবি জানিয়েছে। নির্বাচনের কোনো অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হবে না। সেনাবাহিনী নামানোর কোনো যৌক্তিকতা দেখি না।ওবায়দুল কাদের বলেন,‘বিএনপি চেয়ারপারশন খালেদা জিয়াকে অনেকেই উন্মাদ হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন। আমি বলব বেগম জিয়া উন্মাদ হননি। তিনি যা কিছু করেছেন ঠান্ডা মাথায় করছেন। এ অবস্থায় আমাদেরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাস করেন না। ২৫ মার্চের গণহত্যা তার জানার কথা নয়। সে সময় তিনি সেনাঘাঁটিতে নিরাপদে দিন কাটিয়েছেন। তার গণহত্যা দেখার কথা নয়। সে সময় তিনি জেনারেলের আঙিনায় ছিলেন। জেনারেলের মৃত্যুতে তিনি শোকবাণী দিয়েছেন। মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বলেন, আপনারা চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা থেকে সরে যাননি। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।