দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিজয়ের মাসে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তিনি শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদার বিরূপ মন্তব্য ঃ স্তম্ভিত দেশবাসী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট অভিনেতা এ টি এম শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা বলরাম পোদ্দার, এম.এ করিম সহ আরও অনেকে।
খাদ্য মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ-সাকার ফাসির পর পাকিস্তান যে বিবৃতি দেয় সেখানে পাকিস্তান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার কথা স্বীকার করেনি। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, সারা দেশ যখন নির্বাচনের কলাহলে ব্যস্ত তখনই তিনি এ মন্তব্য করলেন। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনে জয়লাভ করা নয়, নির্বাচনকে নিয়ে একটা ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টি করা।কামরুল ইসলাম বলেন , বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ এনে বিচার করা যায়।বেগম জিয়াকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।তিনি উপস্থিত সবাইকে এ সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে এবং এৗক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করার আহবান জানান।
সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তান স্পষ্ট বলেছে ৭১ সালে গণহত্যা হয়নি। আর এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য বেগম জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন তার জন্য আপনি জাতির কাছে ক্ষমা চান। আর যদি তা না চান এবং বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন তবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন না।