দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫: সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পৌর নির্বাচনীয় এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়ানের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সেনা মোতায়ন ছাড়া এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। গতকাল আমাদের এক প্রার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি, রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকার নিরস্ত্র মানুষের উপর সশন্ত্র আক্রমণ করা করা হচ্ছে, এটা কীভাবে ঠেকাবে। একমাত্র সেনাবাহিনীই নিরাপত্তা দিতে পারে। তাহলেই সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে।
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।হাফিজ উদ্দিন বলেন, গ্রামগঞ্জে কিংবা শহরে নির্বাচন হচ্ছে একটি উৎসব। সাজগোজ করে সুন্দরভাবে অনেকে আনন্দ করতে করতে ভোট কেন্দ্র যায়, একটা ভোট দিতে। কিন্তু এখন ঘর থেকে বের হওয়াও নিরাপদ নয়, মায়ের পেটে শিশুও নিরাপদ না। এমনই একটি দেশেবাস করছি। মানুষ এখন ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার নাম শুনলেই শিউরে উঠে।
তিনি বলেন, একাত্তরে দেশের সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। অথচ এখন যারা মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক সেজেছে, চেতনার ধারক বাহক সেজেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেরকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা কলকাতার চৌহদ্দির বাইরে যাননি। অথচ আজ আওয়ামী লীগের বক্তব্যের নহর বইয়ে দিচ্ছে, তারাই দেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু এদের কারো জীবনই বিপন্ন হয়নি। জীবন দিয়েছে গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ, যারা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ছিল।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এক ভয়াবহ জিনিস। একাত্তরে চট্টগ্রামের কালুঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন, তাই জিয়ার উপর এখন তাদের রাগ। তারা জিয়াকে কৃতজ্ঞতা দিতে রাজি না।আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিপুল জয় হবে উল্লেখ করে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের জনপ্রিয়তা থাকা আর না থাক, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ফলেই শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে। ভোট দেয়ার জন্য মানুষ মন স্থির করে বসে আছে।মহিলা দলের সভাপতি নুরী আরা সাফার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি নেত্রী রাশেদা বেগম হীরা প্রমুখ।