দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, পৌরসভার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের মহড়া হচ্ছে। দেশে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন আর নৌকা চায় না। পৌরসভার নির্বাচনে জনগণ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে তা বুঝিয়ে দেবে। এই সরকার ভোট কারচুপি করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সজাগ। তারা ভোট ছিনতাই এবং ভোট ডাকাতদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, ভোট ডাকাতদের প্রতিহত করে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারেরা সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখবেন। আর এ পরিবেশ নিশ্চিত থাকলে কেউ ভোট ডাকাতির সাহস পাবে না। পুলিশও পারবেনা সরকারের চাহিদা পূরণ করে বাহবা নিতে।বুধবার গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মাস্টারবাড়ী বাজার এলাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শহীদুল্লাহ শহীদের নির্বাচনী গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য মাওলানা এস এম রূহুল আমীন, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির, আলহাজ্ব সিরাজ উদ্দিন কাঁইয়া, রিয়াজুল হান্নান, জাকির হোসেন মৃধা, হুমায়ুন কবির সরকার, অধ্যক্ষ ডঃ শহীদুজ্জামান, ডাঃ শফিকুল ইসলাম আকন্দ, শেখ আব্দুর রাজ্জাক, মর্জিনা আফসার, কাজীম উদ্দিন আহমেদ, নাহীন আহমেদ মোমতাজী, মোছলেহ উদ্দিন মৃধা, এস এম আবুল কালাম আজাদ, আফাজ উদ্দিন প্রধান, শাহজাহান মোড়ল, আলহাজ্ব আবু বকর সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আহমেদ সাইমুম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
হান্নান শাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে পুলিশের দাবী ছিল সাংবাদিকেরা যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারে। এটি বাস্তবায়িত হলে তারা সরকারের নীল নক্সার নির্বাচন পূরণ করার চেষ্টা করবে। পুলিশের এ আবেদনেই প্রমাণ হয় সরকার এখনও নীল নক্সার ভেতরেই রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার হরণ করেনি।তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। কারণ, আওয়ামীলীগের দলীয় লোকজন নির্বাচনে বল প্রয়োগের চেষ্টা করবে। কিন্তু কমিশন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে সহযোগিতা চাননি। কারণ বিএনপিও অঙ্গসংগঠনের কেউ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেনা করবেও না।
নির্বাচনী পরিবেশের ব্যাপারে তিনি বলেন, অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতিশীল হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌর নির্বাচনে সেনাবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন চেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার তার প্রয়োজন বোধ করেননি। তিনি হয়ত পত্রিকা পড়েন না। প্রায় প্রতিদিন খবর হচ্ছে আওয়ামীলীগ নিজেরা নিজেরা হানাহানি করছে। আর বিএনপি কর্মীদের হয়রানি করাতো চলছেই।