দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে বিদ্যমান আইনী জটিলতা দূর করে এই টাকায় গৃহ নির্মাণ বা কেনার সুযোগ দিলে বিদেশে অর্থ পাচার কমে যাবে। কালো টাকা কি জানি না! টাকা থাকলেই না সাদা-কালো হয়। তবে কালো টাকা বলি আর অপ্রদর্শিত আয় বলি, এটা আবাসন খাতে বিনিয়োগ হলে বিদেশে টাকা পাচার কমবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫ দিনব্যাপী রিহ্যাব মেলা উদ্বোধনকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
তিনি বলেন, কালো টাকা কি জানি না, টাকা থাকলেই না সাদা-কালো হয়। তবে কালো টাকা বলি আর অপ্রদর্শিত আয় বলি, এটা আবাসন খাতে বিনিয়োগ হলে বিদেশে টাকা পাচার কমবে। আবাসন খাতকে চাঙ্গা করতে হলে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা ব্যবহার করতে দিতে হবে। ৭৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, এটাকে রোধ করতে হবে। এটা খুবই জরুরি কারণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে আবাসন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বেসরকারি খাতকে আবাসন খাতে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই খাতে বিনিয়োগ করলে হল মার্ক ও ডেসটিনির মতো ভয় পেতে হবে না।
রাজধানীর কালশীতে ভালো মানের এপার্টমেন্ট নির্মাণ হচ্ছে। ২০১৬ সালের মধেই এখান থেকে ফ্ল্যাট কিনা যাবে।অল্প টাকায় সবার জন্য ফ্ল্যাট দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় ও মালয়েশিয়ায় ৪শ’ বর্গফুটের ফ্লাট রয়েছে। অল্প টাকায় সাধারণ মানুষকে ফ্ল্যাট দেয়া হবে।তিনি বলেন, মানুষ যেন ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ফ্ল্যাট পায়, সেই ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।মন্ত্রী বলেন, ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন পদ্ধতি ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে ভরাট ও দূষিত করছে। এই পরিবেশ থেকে মুক্তির জন্য পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য নতুন পদ্ধতিতে যেতে হবে। আর এ কাজ নিজেরাই করতে হবে। কারণ বেসরকারি সেক্টর এগিয়ে না এলে কখনই দেশের উন্নতি হবে না।
তিনি বলেন, ৭৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, এটাকে রোধ করতে হবে। আর এটা করতে হলে সরকারের নীতি পাল্টাতে হবে।আবাসন খাতকে চাঙ্গা করতে হলে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা ব্যবহার করতে দিতে হবে। আগে প্রশ্ন করা হতো না। আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কালো টাকার বিষয়ে যেন প্রশ্ন না করা হয়। ৭৬ হাজার কোটি টাকার অর্ধেক হলেও এটাকে রোধ করতে হবে। এটা খুবই জরুরি কারণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে আবাসন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, কালো টাকা আবাসন খাতে বিনিয়োগ করলে যাতে কোনো প্রশ্ন না করা হয়।
আমরা আগেও দেখেছি, আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগ হতো। তখন এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। প্রশ্নও করা হয়নি। এই বিষয়টি যেন আবার ফিরে আসে। আবাসন খাত চাঙ্গা করতে হলে কালো টাকা ব্যবহার করতে হবে। দেশের টাকা যেন বাইরে পাচার না হয়।রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামছুল আলামিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন) মো. ওয়াহেদুজ্জামান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তব্যরাখেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবিউল হক। ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সোহরওয়ার্দী ভূঁইয়া।আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলা চলবে।