13626

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত ( বেতন বাবদ সরকারি অনুদান পাওয়া) শিক্ষক-কর্মচারীরাও নতুন জাতীয় বেতনস্কেলে বেতন পাবেন। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানিয়েছে।এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নতুন স্কেলে পাওয়া বেতনও গত জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।গত ১৫ ডিসেম্বর নতুন বেতনস্কেল ঘোষণা করা হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামোর সুবিধা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও পাবেন।গত ১ জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের তারিখ নির্ধারণ করে রোববারই আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।গত ১৫ ডিসেম্বর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অষ্টম বেতন কাঠামোর যে প্রজ্ঞাপন হয়েছিল, তাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।

এ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে থাকা ৫ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক। রোববার আদেশ জারির আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য যে অষ্টম বেতন কাঠামো হয়েছে, তার সব সুযোগ-সুবিধা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও পাবেন।চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর ধরা হয়েছে। আগামী মাসে নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাবেন সবাই। জুলাই থেকে পাঁচ মাসের বকেয়াও পাবেন তারা।তবে নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বকেয়ো বেতন কবে থেকে বা কীভাবে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি নাহিদ।নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠায় বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।এ প্রসঙ্গ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠি আমরা দেরিতে পেয়েছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি হাতে পাওয়ার পরপরই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নতুন বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বিলুপ্ত করেছে সরকার। এনিয়ে বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও অসন্তোষ জানিয়ে আসছেন।এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বিলুপ্ত হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোন পদ্ধতিতে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া যায় তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে। শিক্ষা পরিবারের কেউ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে, বলেন তিনি।