দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫: আগামী ১ জানুয়ারি ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (ডিআইটিএফ) প্রথম বারের মতো অংশ নিচ্ছে ভারতের সরকারি বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা (ইন্ডিয়ান ট্রেড প্রমোশন অর্গেনাইজেশন-আইটিপিও)। বাংলাদেশে ভারতের পণ্যের পরিচিতি তুলে ধরা ও প্রসারের জন্যই দেশটির এ উদ্যোগ। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইপিবি সূত্র জানায়, প্রতিবছর বাণিজ্য মেলায় ভারতের প্যাভিলিয়ন থাকলেও এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থাটি। তাদের জন্য মেলায় ২০ হাজার বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে ইপিবি। ইতোমধ্যে ভারতের এ সরকারি সংস্থাটি মেলায় তাদের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। মেলায় ভারত সরকার তাদের দেশের সবচেয়ে সেরা পণ্যের প্রদর্শন করবে বলে ইপিবি জানিয়েছে। তবে কী কী পণ্য প্রদর্শন করা হবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি ভারত।ইপিবির সচিব মো. ইউসুফ আলী এ প্রতিবেদককে জানান, ভারতের সরকারি সংস্থা আইটিপিওর জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে তারা কী ধরনের পণ্য প্রদর্শন করবে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মূলত বাংলাদেশে ভারতের বিভিন্ন পণ্যের পরিচিতি ও বিক্রয় প্রসারের জন্যই তারা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছে।
এদিকে, প্রতিবছরের মত এবারও বাণিজ্য মেলায় থাকছে বিদেশি স্টল। এবার মেলায় বিশ্বের ২০টি দেশ অংশ গ্রহণ করছে। এসব দেশের মধ্যে নতুন দেশ হিসেবে অংশ নিচ্ছে মরিশাস ও ঘানা। তবে এ দুটি দেশ ছাড়াও থাকবে ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্টেলিয়া, বৃটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, নেপাল, হংকং, জাপান, আরব আমিরাত। দেশগুলো থেকে মোট ৫২টি স্টলের জন্য আবেদন জমা পড়েছে।
মেলা আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের মত এবারও মেলার গেট হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের মতো। মেলায় এবারও থাকছে মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক, এটিএম বুথ, রেডিমেট গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্পজাত, পাট ও পাটজাত, গৃহস্থালী ও উপহার সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ক্রোকারেজ, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হার্বাল ও প্রসাধন সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেক্টনিক্স সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও ফার্নিচার স্টল।জানা গেছে, এবার নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১২২ জন আবেদন করেছিল। কিন্তু প্রকৃত উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করে ৩৬টি স্টল বরাদ্দের আদেশ দেয়া হয়েছে।