দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫: একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে এক অপারেটরের সর্বোচ্চ ৫টি পমাবাইল সিম রাখা যাবে। অবৈধ সিমের মাধ্যমে সন্ত্রাস বন্ধে এমন বিধি নিষেধ আসছে।আঙুলের ছাপ মিলিয়ে সিম নিবন্ধন শুরু হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে। এর আগেই ১৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ টওতিমন্ত্রী তারানা হালিম।তারানা হালিম জানান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে আলোচনা করেছি। ১৪ তারিখে (ডিসেম্বর) আমরা বিষয়টি চূড়ান্ত করবো।সূত্র জানিয়েছে, বিটিআরসি সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যাতে এনআইডি’র বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে।
গত অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারানা হালিম জানিয়েছিলেন, যাচাই প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম ১ কোটি সিমের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধিত সিম পাওয়া যায় মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি। এমনকি একটি ভুয়া’ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম কেনার তথ্যও পাওয়া গেছে বলে তিনি তখন জানিয়েছিলেন।এসব অবৈধ সিম নিবন্ধন রোধে সিম সংখ্যার সীমা বেঁধে দিতে বিটিআরসিকে একটি চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক এনআইডির বিপরীতে এক অপারেটরের সর্বোচ্চ সাতটি এবং সব মিলিয়ে ২৪টির বেশি সিম রাখার মতো নিয়ম করা যায় কিনা সে বিষয়ে বিটিআরসির পরামর্শ চাওয়া হয়।বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিটিআরসি জানায়, এক গ্রাহক সর্বোচ্চ ২০টি সিম এবং এক অপারেটররের সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম রাখতে পারবে এমন বিধি করা যেতে পারে। বিটিআরসির প্রস্তাবটিই চূড়ান্ত হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, আমরা চূড়ান্ত করছি, একজন গ্রাহক এক অপারেটরের সর্বোচ্চ ৫টি সিম রাখতে পারবে।বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসি’র সর্বশেষ তথ্য মতে দেশে মোবাইল সিমের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি।আঙুলের ছাপ মিলিয়ে ১৬ ডিসেম্বর থেকে সিম নিবন্ধন শুরু হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি’র) বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেধে দেয়ার প্রস্তাব করেছে বিটিআরসি।এছাড়া একটি এনআইডি) বিপরীতে এক অপারেটরের ৫টির বেশি মোবাইল সিম রাখা যাবেনা। অবৈধ সিমের মাধ্যমে সন্ত্রাস বন্ধে বিটিআরসি এ প্রস্তাব করেছে। বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য মতে, দেশে মোবাইল সিমের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি। সোমবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।সম্প্রতি সিম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে প্রথম ১ কোটি সিমের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধিত সিম পাওয়া যায় মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি। এমনকি একটি‘ভুয়া’ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম কেনার তথ্যও পাওয়া যায়।বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে
টেলিযোগাযোগ খাতের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের পরিবহন বাসে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেবে সরকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাংলামেইলকে এ তথ্য জানিয়েছেন।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এ তহবিলে জমা হয়েছে ৭৬০ কোটি টাকা। এ অলস টাকা ব্যয়ের খাত নির্ধারণে বিটিআরসিতে রোববার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর সচিবালয়ে ফিরে তারানা হালিমবলেন, চার খাতে এ তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হবে। এগুলো হলো দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় ইন্টারনেট সেবার সম্প্রসারণ, তথ্য প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পে তরুণদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনা, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা দেয়া। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ফাইবার অপটিক সংযোগ দেয়া হবে বলেও জানান তারানা। তিনি বলেন, যেখানে ফাইবার সংযোগ দেয়া যাবে না সেখানে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন (সংশোধিত ২০১০) অনুসারে ২০১০ সালে ১ আগস্ট সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) নামের একটি তহবিল সৃষ্টি করা হয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ সেবা সম্প্রসারণে এ তহবিল গঠন করা হয়। ২০১১ সালে মোবাইল অপারেটরগুলো টুজি লাইসেন্স নবায়নের সময় তাদের বার্ষিক মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশ সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করে বিটিআরসি। তহবিল ব্যবহারের বিধিমালা না থাকায় দীর্ঘ দিন এ অর্থের ব্যবহার শুরু হয়নি। সূত্র জানায়, ২০১২ সালের জুন মাসে একটি বিধিমালা তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে (আগে ছিল মন্ত্রণালয়) পাঠায় বিটিআরসি। বিধিমালাটি অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৩ সালের ১৯ আগস্ট ‘ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ চেয়ে মন্ত্রণালয় বিটিআরসিতে তা ফেরত পাঠালে ৩১ অক্টোবর কমিশন এর জবাব দেয়। সে বছরের ডিসেম্বরে এ বিধিমালা অনুমোদন পায়। বর্তমানে তহবিলে ৭৬০ কোটি টাকা জমা হয়েছে।