দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫: ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিয়ে কোনো অন্যায় করিনি বলে মন্তব্য করলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, যেহেতু তারা বাংলাদেশে বৈধভাবে ব্যবসা করে। সুতরাং তাদের টাকা নিতে সমস্যা কোথায়? আমি মনে করি, এই টাকা নিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজন করে দেশকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছি।রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল প্রোথ সেন্টার (আইজিসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এই সেমিনারের আয়োজন করে।শনিবার এক অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত বলেন, আমি মনে করি ইসলামী ব্যাংককে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্পনসর করে সরকার ভুল করেছে। এর মাধ্যমে সরাসরি ইসলামী ব্যাংককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে এটা ঠেকাতে আমি তখন সরকারকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু আজকের পরিকল্পনামন্ত্রী লোটাস কামালের (পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল) কারণে সেটা ঠেকানো যায়নি।
আবুল বারকাতের ওই মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, যারা জীবনে কিছু করে নাই, তারাই এসব মন্তব্য করতে পারে। ইসলামী ব্যাংক যদি মৌলবাদে অর্থায়ন করে বা কোনো অন্যায় কাজ করে, সেটা দেখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রয়েছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকে পাঁচ-ছয়জন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগও দিতে পারে।পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়াসহ ২০৪০সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, যে জাতি তার গন্তব্য জানেনা, সে জাতি এগুতে পারে না। বাংলাদেশ তার গন্তব্য নির্ধারন করেছে । বাংলাদেশের গন্তব্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা । অটুট এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বহুদূর এগিয়ে গেছে ।অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ , ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ফরহাদ খলিল এবং বোস্টন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর দীলিপ মুখার্জী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন । পরিকল্পনা মন্ত্রী শিক্ষা বিস্তার বিশেষ করে নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অগ্রগতি সূচকে বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরে বলেন, অবকাঠামো সম্প্রসারন ও উন্নয়ন, মানসম্মত শিক্ষাবিস্তার এবং দারিদ্র বিমোচন লক্ষ্য অর্জনে আমরা বিনিয়োগ করছি ।এ বিনিয়োগের সুফল খুব সহসাই দেশের মানুষ ভোগ করবে ।