দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫: শেষ পর্যন্ত সিলেট সুপার স্টার্সকে কোন সুযোগই দেয়নি দুর্দান্ত গতিতে আগানো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে সিলেট সুপার স্টার্সকে ৭১ রানে পরাজিত করেছে মাশরাফি শিবির।এই পরাজয়ে চিটাগংয়ের পর দ্বিতীয় ও শেষ দল হিসাবে বিপিএল থেকে বিদায় নিল শহীদ আফ্রিদির সিলেট সুপার স্টার্স। অন্যদিকে গ্র“প পর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের বদৌলতে রংপুরকে হটিয়ে আবারও পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে সিলেটের হারে লাভ হয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটসের। সন্ধ্যায় তাদের ম্যাচ রয়েছে বরিশাল বুলসের সঙ্গে।
তবে মাঠে নামার আগেই শেষ চারের খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে কুমার সাঙ্গাকারা-মুস্তাফিজদের।ফলে শেষ চারে খেলা চারটি দলই এখন চূড়ান্ত হলো। দলগুলো হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রংপুর রাইডার্স, বরিশাল বুলস ও ঢাকা ডায়নামাইটস। বৃহস্পতিবার ঢাকা ও বরিশালের ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে গ্র“প পর্বের ম্যাচ। ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শেষ চারের ফাইনালে যাওয়ার লড়াই।নয় ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিল সিলেট সুপার স্টার্স। আশা ছিল কুমিল্লার সঙ্গে জয় দিয়ে সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে। পরের ম্যাচে ঢাকা যদি বরিশালের কাছে হেরে যায়, তাহলেই শেষ চারে খেলা নিশ্চিত হতো সিলেটের। কিন্তু সবকিছু এত ব্যাকরণ মেনে হয় না। প্রথম শর্ত জয়, সেটিই কুমিল্লার সঙ্গে অর্জন করতে পারেনি আফ্রিদি-মুশফিকরা।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরই গড়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে আগানো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে সিলেট শুরু থেকেই খেই হারিয়ে ফেলে। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে সিলেটের ইনিংস থামে ১৩.৫ ওভারে মাত্র ৭৯ রানে। কুমিল্লা পায় ৭১ রানের সাবলিল জয়। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তুলনামূলক ভালোই হয়েছিল সিলেটের। দুই ওপেনার জশুয়া কব ও জুনায়েদ সিদ্দিকী দেখে শুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন। তবে ১১ বলে ১০ রান করেই বিদায় নেন আগের ম্যাচে ফিফটি করা জুনায়েদ। দলীয় ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার জশুয়া কবও। ১৮ বলে ২১ রান করা কব শিকার হন নাঈম ইসলামের।এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরাও দ্রুত ফেরেন সাজঘরে। ৩৭ রানে নেই পাঁচ উইকেট। ৫৭ রানে গিয়ে পড়ে আট উইকেট। এরই মধ্যে বিদায় নেন একে একে বোপারা (১), মুশফিকুর (২), সোহেল তানভির (১), শহীদ আফ্রিদি (৬), নুরুল হাসান (২), আব্দুর রাজ্জাক (২)।
কার্যত এখানেই শেষ হয়ে যায় সিলেটের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত মুমিনুল হক ১৫ রানে অপরাজিত থাকলেও রক্ষা হয়নি সিলেটের। শেষের দুই ব্যাটসম্যান শহীদ ও রুবেল ফেরেন দ্রুতই সাজঘরে। ৭৯ রানেই অলআউট সিলেট। কুমিল্লার হয়ে শুভাগত হোম তিনটি, আন্দ্রে রাসেল, এসার জাইদি দুটি, আবু হায়দার ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র একটি করে উইকেট লাভ করেন। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে আসল কুমিল্লা। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে রংপুর রাইডার্স। সেখানে নয় ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বরিশাল বুলস। সমান ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ঢাকা ডায়নামাইটস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা গ্র“প পর্বের শেষ ম্যাচে বরিশাল জিতলে পয়েন্ট তালিকায় হেরফের হতে পারে। তবে ঢাকা জিতলে ব্যবধান থাকবে আগের মতোই।