দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আনা মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সাতদিনের রিমান্ড আদেশ বাতিল করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।তবে প্রয়োজনে তাকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।এর আগে নিন্ম আদালত মাহমুদুর রহমান মান্নাকে রাস্ট্রদ্রোহ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আদশে দেন। তবে রিমান্ড চলার তিনদিনের মাথায় মান্না অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ার পর বাকি সাত দিনের রিমান্ডের বিষয়ে আবারও আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন মান্নার পক্ষে তার আইনজীবী। উক্ত আবেদন শুনানি পর মান্নাকে রিমান্ডে নেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়। ওই রুলের চুড়ান্ত শুনানি শেষে আজ এ রায় দেয় হাইকোর্ট।
গত ৫ মার্চ মান্নাসহ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি নেতা ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে আসামি করে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসআই শেখ সোহেল রানা বাদী হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়ের করে। এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চায় পুলিশ। গত ৪ মার্চ অনুমোদন দেয়ার পরদিন মামলাটি দায়ের করা হয়।সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র সেনা বিদ্রোহে উস্কানিসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা অপর একটি মামলায়ও ১০ দিনের রিমান্ডে ছিলেন মান্না। গত ২৫ ফেব্র“য়ারি এ রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত। ওই রিমান্ড শেষে মান্নাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পুনরায় তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনটি দাখিল করা হয়। গত ২৪ ফেব্র“য়ারি রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে মান্নাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অনলাইন নিউজ, ইউটিউব, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার ফোনালাপের দুটি অডিও টেপ প্রকাশ করা হয়। এ ফোনালাপ প্রকাশের পর দেশব্যপি তোলপার সৃষ্টি হয়। ফোনালাপে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র সেনা বিদ্রোহে উস্কানি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করাসহ বিভিন্ন বিষয় ও প্রসঙ্গ রয়েছে।