40120

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশে ডাক্তার নামের কিছু কসাই আছে। যারা চিকিৎসার নামে রোগীর জীবন বিপন্ন করে দেয়। আর কিছু সরকারি ডাক্তার এসব কসাইকে সহায়তা করে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ঔষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা মোকাবেলায় ডিওটি (ডট) এর ভূমিকা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপণা সম্পাদক আশিস সৈকতের সভাপতিত্বে গোল টেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই-মাহবুব, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচির ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্র্যাক এর যক্ষ্মা ম্যালেরিয়া কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এর পরিচালক ডা. আকরামুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. মোজ্জাম্মেল হক।

দেশে যক্ষ্মার বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যক্ষ্মা নিয়ে আর কোন দেবদাশ হবে না, কোন নাটক সিনেমাও হবে না। কারণ, এখন যক্ষ্মা রোগী খুঁজে বের করতে হয়। একটা সময় ছিল যক্ষ্মা মানেই নিশ্চিত মৃত্যু, এখন আর তা নেই।স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশকে যক্ষ্মা মুক্ত করতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সকলকে সমন্বিত ভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসক, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক কর্মী এমনকি মসজিদের ইমামদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামীতে মেডিকেল ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই অধুমপায়ী হতে হবে। পরীক্ষা দিতে হলে সে যে ধূমপানমুক্ত তার সার্টিফিকেট দিতে হবে। তিনি বলেন, এই সংক্রান্ত চিঠি ইতিমধ্যে সব মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।কিছুদিন আগে ছয় হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অল্পদিনে ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হবে।মূল প্রবন্ধে ডা. মো. মোজ্জাম্মেল হক বলেন, যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। বছরে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ২২৭ জন নতুন করে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়।