দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫: ১৪ ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রতীক নিয়ে কেউ কোনো প্রচারণা চালাতে পারবেন না। ওই দিন থেকেই প্রতিটি পৌরসভায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করবেন। এদিকে,আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের পরিচালনা বিধিমালায় কিছু ক্ল্যারিক্যাল মিসটেক (করনিক ভুল) হয়েছে। এগুলো সংশোধন করেই প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়া হবে। আর তা সংশোধন করতে কোনো সমস্যাও নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব সিরাজুল ইসলাম।বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ। বৈঠকের পর ইসি সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন হচ্ছে। এ কারণে যাঁরা দলীয়ভাবে নির্বাচন করছেন, তাঁদের প্রতীক রয়েছে। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এখনো প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ১৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রার্থীদের মধ্যে যাতে বৈষম্য না হয়, এ কারণে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আর প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছেন কি না, তা দেখার জন্য ১৪ ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি পৌরসভায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করবেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তাঁরা শাস্তি দেবেন।আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৫টি পৌরসভায় নির্বাচন হবে। আজ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। গত ২৩ নভেম্বর (সোমবার) নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধনের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে প্রতীক বরাদ্দের একটি বিধির- এক উপবিধি ও কয়েকটি দফায় ভুল করা হয়েছে। যা ক্ল্যারিক্যাল মিসটেক বলে মনে করছেন সচিব সিরাজুল।
তিনি বলেন, একটি বিধিতে কিছু দফায় পরিবর্তন আনতে হবে। এতে উপবিধি (২)-এর জায়গায় উপবিধি (১) হবে। আবার দফা (ক)-এর জায়গায় (খ) হবে। আবার (খ)-এর জায়গায় (ক) হবে। তাই এটি বড় কোনো ভুল নয়। যা পরিবর্তন করতেও কোনো সমস্যা নেই। এটি পরিবর্তন করেই নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ভুলগুলো সংশোধনের প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে কমিশন।
গত ২৪ নভেম্বর তফসিলে ঘোষণার পরপরই মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণার সুযোগ চেয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় এবং প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়ার বিধান আনতে বেশ কয়েকটি দল নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন আনার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তখন বলেছিলেন- তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের এই পর্যায়ে বিধিমালা সংশোধন করা ঠিক হবে না। তবে বাস্তবে সংশোধন তো করতেই হচ্ছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১৪ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রতীক বরাদ্দের বিধানে সংশোধন আনতে হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি। এতে মেয়র পদে দলীয় এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ হবে।