2015_09_03_16_45_19_wYkcQ1YjsD5Xdtlj6rIKwa3UIWfY6u_original

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫: অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশ বহাল থাকলে দেশবাসী ন্যায় বিচার পাবে। এজন্য আমি আদালতে জোরালো বক্তব্য রেখেছি। আশা করছি নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহালের মধ্য দিয়ে বুদ্ধিজীবীর পরিবার ও দেশবাসী ন্যায়বিচার পাবে। সোমবার মতিউর রহমান নিজামীর মামলায় আপিলে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে এসব কথা বলেন।

মাহবুবে আলম বলেন, নিজামীর মামলার শুনানিতে চারটি চার্জ বিষয়ে আমি আদালতে বক্তব্য দিয়েছি। কেননা এ চারটি চার্জে তার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২ নম্বর অভিযোগে একজনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ৪ নম্বর অভিযোগে মেঘা ঠাকুর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ২ জনকে ধর্ষণ এবং ৯ জনকে হত্যা করা হয়। ১৬ নম্বর অভিযোগে বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত ছিলো নিজামী। তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে দেশবাসী ন্যায়বিচার পাবে।তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শুধু বুদ্ধিজীবীদের পরিবারই নয়, সারাদেশের মানুষও বিচারপ্রার্থী। তার অপরাধের সাজা একটাই হতে পারে, সেটি হলো মৃত্যুদণ্ড।

বুদ্ধিজীবী হত্যায় নিজামী সরাসরি ছিলেন কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ‘বিজয়ের উষালগ্নে নভেম্বর মাসে নিজামী আল বদর নিয়ে যে লেখা লিখেছেন তাতে অপকর্মে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। সরাসরি মেরেছে এমন সাক্ষ্য দিতে হবে সেটা এ আইনে লেখা নেই। তার কর্মে পরিকল্পনা উৎসাহী হলে অপরাধী বলে গণ্য হবে।

শুনানির সময় হিটলারের বিষয়ে কি বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হিটলার নিজের হাতে কাউকে মেরেছে এমন কোনো সাক্ষী নেই। কিন্তু এক বিশাল জনগোষ্ঠীকে পরিকল্পনা করে নিধন করেছেন। একইভাবে আল বদর মুক্তিযোদ্ধাদের নিধন করার পরিকল্পনা করেছিলো।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সে সময় নিজামী উত্তেজক বক্তব্য দিয়েছিলেন। উনি যখন ছাত্র সংঘের সভাপতি তখন আল বদর গঠিত হয়। আর উনারাই স্বীকার করেছেন জামায়তের লোকজনই আল বদরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ছিলেন।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে অপরাধ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হয় অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।