দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ৩০ নভেম্বর ২০১৫: হারের বৃত্তে বন্দিই রইল তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংস। ঢাকায় চার ম্যাচ খেলে তিনটিতেই পরাজয়। মাত্র একটি জয় নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা নিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করেছে চিটাগাং ভাইকিংস; কিন্তু সোমবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উল্টো বরিশাল বুলসের কাছে ৩৩ রানে পরাজয় বরণ করতে হলো স্থানীয় দলটিকে।বরিশালের ছুঁড়ে দেয়া ১৭০ রানের বিশাল স্কোর তাড়া করতে নেমে ৫১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে শুরু করেছিল চিটাগাং। এরপর নাঈম ইসলাম, জিয়াউর রহমান আর মোহাম্মদ আমিরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় চিটাগাং। শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ১৩৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় চিটাগাং।
বরিশালের পক্ষে কেভিন কুপার ৩টি এবং আল-আমিন হোসেন নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি, তাইজুল ইসলাম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে বরিশালের অবস্থান এখন দুই নম্বরে। ৪ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা। রান রেটে এগিয়ে কুমিল্লা। এছাড়া রংপুর-ঢাকারও পয়েন্ট ৬ করে। তারা রয়েছে যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে। ৫ ম্যাচের একটিতে জেতা চিটাগাং ভাইকিংস রয়েছে ৫ নম্বরে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল্লাহ আর সেকুগে প্রসন্ন ঝড়ে শেষ দিকে রানের বন্যা বইয়ে দেয় বরিশাল। যার ফলে স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৭০-এ। জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই দারুন বিপদে চিটাগাং ভাইকিংস।
৭ রানের মাথায়ই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় স্থানীয়রা। আল আমিনের বলে কেভিন কুপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম।তিলকারতেœ দিলশান আর কামরান আকমল মিলে চেষ্টা করেন দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে। কিন্তু মাঠে নামার পর প্রথম বলেই দুর্ভাগ্যক্রমে রান আউট হয়ে যান কামরান। দলীয় রান তখন ১৯। এরপরের জুটিটা দিলশান আর এনামুল হক বিজয়ের। ১৭ রানের এই জুটির পর তাইজুল ইসলামের বলে মোহাম্মদ সামির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান দিলশানও।এনামুল হক বিজয় ১৩ বলে করেন ১২ রান। এরপর আল আমিন ঝড়ের মুখে পড়ে নাদিফ চৌধুরীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বিজয়ও। দলীয় রান তখন ৪০। চিটাগাংয়ে ভরসার জায়গাটা নিজ দায়িত্বে নিয়ে মাঠে নামেন এলটন চিগুম্বুরা। জিম্বাবুয়ের অধিনায়কও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১১ বলে মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান তিনি।
এরপর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন নাঈম ইসলাম। ২৬ রানের জুটি গড়ার পর ১৩ বলে ১৩ রান করা জিয়াউর আউট হয়ে যান মোহাম্মদ সামির বলে। এরপরই ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটি গড়ে চিটাগাং। মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন নাঈম ইসলাম।১২ বলে ২০ রান করে আমির আউট হয়ে গেলেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় চিটাগাংয়ের। এতক্ষণ প্রতিরোধ গড়ে তোলা নাঈম ইসলামও আউট হয়ে গেলেন। ৪০ বলে তিনি খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। ৩টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি। শেষ দিকে ৬ বলে ১২ রান করে ছোট্ট একটা ঝড় তোলেন শফিউল ইসলাম। তবে সেটা শুধুই পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত ১৩৭ রানেই অলআউট হয়ে গেলো চিটাগাং।