দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০১৫: যানজট কমাতে গাজীপুর থেকে মহাখালী হয়ে হাতিরঝিল সাতরাস্তা পর্যন্ত ২২টি ইউ-লুপ স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর লেকশোর হোটেলে করপোরেশন আয়োজিত ঢাকার যানজট নিরসনকল্পে ইউ-লুপ স্থাপন প্রসঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিটি মেয়র আনিসুল হক এ কথা জানান।তিনি বলেন, জমি পাওয়া গেলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন করা সম্ভব হবে। গাজীপুর থেকে মহাখালী হয়ে হাতিরঝিল সাতরাস্তা পর্যন্ত এই ৩০ কিলোমিটার সড়কে ২২টি ইউ-লুপ স্থাপন করা হলে যানজট প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যাবে।
এখানে ৫টি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৩৭ দশমিক ০৯ বিঘা জমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথের ৩১ বিঘা, রেলওয়ের ১ দশমিক ৬১ বিঘা এবং সিভিল এভিয়েশনের ১ দশমিক ৮৩ বিঘা জমি রয়েছে। এসব জায়গা একেবারে খালি পড়ে থাকায় অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না, যোগ করেন আনিসুল হক। রাজধানী ঢাকার যানজট এখন জাতীয় দুর্ভোগ নাম বলে মন্তব্য করেছেন খুদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যানজট এখন জাতীয় দুর্ভোগ। এ দুর্ভোগ কাটাতে আমরা গাজীপুর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সড়ক নিয়ে আরও আধুনিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে ২২টি ইউলুপ নির্মাণ করা হবে। এসব ইউলুপ যদি জনগণের দুর্ভোগ কিছুটা কমায় তাহলেও ভালো।যানজট নিরসনে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে হাতিরঝিল পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়ক ট্রাফিক সিগন্যালমুক্ত করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ লক্ষ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৬৯টি ক্রসিং বন্ধ করে ২২টি সড়ক পারপার সেতু বা ইউলুপ নির্মাণ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, ফুটপাতগুলো পথচারীদের ব্যবহারের বদলে অন্যরা ব্যবহার করছে। রাজনৈতিক মদদ, পৃষ্ঠপোষকতা আছে এসবের পেছনে। ফুটপাতগুলো পথচারীদের জন্য ছেড়ে দিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া রাজধানীর যানজট নিরসন সম্ভব নয়।সভায় ইউ-লুপ নকশাকারী নির্মাতা দলের এসএম সালেহউদ্দিন ও আসাদুর রহমান মোল্লা একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন। এতে বলা হয়, গাজীপুর থেকে হাতিরঝিল পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়কটি ট্রাফিক সিগন্যালমুক্ত করতে ২২টি ইউলুপ নির্মাণ করা হবে। দুই ধরনের ইউলুপ নকশা করা হয়েছে। একটিতে ছোট-বড় দুই ধরনের যানবাহনই চলবে। অন্যটিতে শুধুমাত্র ছোট গাড়ি চলবে। একটি ইউ-লুপ থেকে আরেকটি ইউলুপের সর্বনিম্ন দূরত্ব হবে ৮০০ মিটার আর সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার।
মেয়র আনিসুল হক বলেন, ইউলুপগুলো নির্মাণ করতে ৩৭ দশমিক ০৯ বিঘা জমির প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথের ৩১ দশমিক ২৫ বিঘা, রেলওয়ের ১ দশমিক ৬১ বিঘা ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের ১ দশমিক ৮৩ বিঘা। তবে এসব জমি খালি আছে, কোনো অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। জমি পাওয়া গেলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ইউলুপ নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যাবে।সভায় সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।