ec-300x160

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০১৫: সারাদেশে ২৩৬টি পৌরসভা নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানকে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিষয়টি অবহিত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠিও দিয়েছেন তিনি। মূলত সেই চিঠি পৌঁছাতেই শনিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়েছিলন বিএনপির প্রতিনিধি দল। সিইসির অনুপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব শামসুল আলমের হাতে চিঠিটি হস্তান্তর করে প্রতিনিধি দল। বেলা ১২টায় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক ইমরান সালেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ইসি কার্যালয়ে ডবেশ করেন। বেরিয়ে আসেন ২০ মিনিট পর। দলে আরো ছিলেন, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।

বিএনপি কেন ১৫ দিন নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে জানতে চাইলে ইমরান সালেহ উদ্দিন বলেন, নতুন করে ৫০ লাখ ভোটার হয়েছে। এ নির্বাচনে তাদের সম্পৃক্ত করতেই বিএনপি এ দাবি জানিয়েছে।নতুন ওই ভোটার চূড়ান্ত হবে জানুয়ারি অথবা ফেব্র“য়ারি মাসে। কিন্তু আপনার সময় চেয়েছেন ১৫ দিন? এর জবাবে ইমরান সালেহ উদ্দিন বলেন, ইসি এবং সরকার ইচ্ছে করলে সব সম্ভব। তারপরও আমাদের মুখপাত্র এ ব্যাপারে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাবেন।তিনি বলেন, সরকার আমাদের বক্তব্য আমলে নিচ্ছে না। আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন ১৫ দিন নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সারাদেশে আমাদের মেয়র প্রার্থীরা কমিশনের অফিসে গিয়ে বিভিন্ন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। কারণ তারা গিয়ে কোনো রিটার্নিং অফিসার বা কোনো কর্মকর্তাকে অফিসে পাচ্ছেন না। এর ফলে তাদের মনোনয়ন দাখিল করতে পারছেন না।এদিকে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মোকলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন বিধি অনুয়ায়ী দলের পক্ষ থেকে কারা প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন তার তালিকা কমিশনে জমা দিতে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫টি রাজনৈতিক দল তাদের পত্রের অনুলিপি জমা দিয়েছে। দলগুলো হলো- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসাদ), বিএনপি, আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ে মোহাম্মদ শাহজাহানকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিটি গ্রহণ করেন ইসির উপ-সচিব মো. শামসুল আলম।পরে বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।তিনি বলেন,পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়নকারীর ক্ষমতা দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হয়। যার একটি অনুলিপি ইসিকেও দেওয়ার বিধান রয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা ইসিকে খালেদা জিয়ার চিঠিটি দিয়ে গেলাম।প্রিন্স অভিযোগ করেন, আগে থেকে যোগাযোগ করে আসলেও কমিশনের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা ছিলেন না।

তিনি আরও বলেন, আমরা পত্রপত্রিকায় নির্বাচন সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর ১৫ দিন নির্বাচন পেছানোর দাবি করি। এছাড়া আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি জানিয়েছি, কিন্তু আমাদের কোনো বক্তব্য আমলে না নিয়েই নির্বাচন করতে চাচ্ছে কমিশন। কিন্তু ইসি আন্তরিক হলে; বক্তব্য আমলে নিলে নির্বাচন পেছানো সম্ভব। ইচ্ছে করলেই নির্বাচন পেছানো সম্ভব বলেও দাবি করেন তিনি।