দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০১৫: আইএসের নাম দিয়ে বাংলাদেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, জঙ্গিবাদের অস্তিত্বের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।দুই মন্ত্রী দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোনো একটা ঘটনা ঘটলেই ৫ মিনিটের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমেরিকায় একটি বার্তা চলে যায়। তখন আমেরিকার সাইট নামক প্রতিষ্ঠান বলে এটা আইএস করেছে। আইএস নামে কোনো সংগঠন বাংলাদেশে নেই। তাদের কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই। আইএসের নাম দিয়ে আমাদের মধ্যে একটি বিভেদ সৃষ্টি করতে এবং বিভেদের সুযোগ নিয়ে আজকে আমাদের অকার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে কোনোভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চলছেস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশে আইএসের কোনো সাংগঠনিক অস্তিত্ব নেই। এখানে আইএসের অস্তিত্ব আবিষ্কার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ইমাম-খতিবদের সহযোগিতা কামনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশকে অকার্যকর করতেই আইএস-এর নামে ষড়যন্ত্র করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের বাংলাদেশি দোসররা। আইএসের নামে দেশকে বিভাজনের চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোনো একটা ঘটনা ঘটলেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য েেথকে আমেরিকায় একটি বার্তা চলে যায়। তখন আমেরিকার সাইট নামক প্রতিষ্ঠান বলে এটা আইএস করেছে।জঙ্গিবাদের অস্তিত্বের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আপনারা উপলব্ধিও করতে পারবেন না যে বাংলাদেশ নিয়ে কি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন দেশে জঙ্গিদের জন্ম দেয়, আইএসের জন্মদাতা আমেরিকা, জঙ্গিদের মূল জন্মদাতা আমেরিকা। জঙ্গিবাদ, মাদক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে ইমাম সমাজের ভূমিকা বিষয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ কামরুল ইসলাম বলেন, আপনারা উপলব্ধিও করতে পারবেন না যে বাংলাদেশ নিয়ে কি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, যারা বিভিন্ন দেশে জঙ্গিদের জন্ম দেয়…। আইএসের জন্মদাতা আমেরিকা, জঙ্গিদের মূল জন্মদাতা আমেরিকা। আজকে তারাই বিভিন্ন দেশে মার খাচ্ছে। তারা বলছে, জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সঙ্গে আছি, এটা নতুন ষড়যন্ত্র। পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে দাঁড়াবে আওয়ামী লীগ। আর এই নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
বর্তমানে দেশে শতকরা ৭০ ভাগ পৌরমেয়র আমাদের। তবে এই সংখ্যা এবার ৮০ ভাগে উন্নীত করতে হবে। এজন্য সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিচার যে সঠিক, সম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াই তা প্রমাণ করে।কামরুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে আসার জন্য শর্ত দিলেও পরবর্তীতে তা থাকবে না বিএনপির। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে আসা উচিত।তিনি বলেন, যারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারাই এদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।