দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৭ নভেম্বর ২০১৫: নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডাইনামাইটসের বিরুদ্ধে হেরেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। দল হিসেবে কুমিল্লার ওই পরাজয় কারো কাছেই অস্বাভাবিক ছিল না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৯ উইকেটে হারিয়েছে মিসবাহ উল হকের রংপুর রাইডার্সকে। মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ৮২ রানে রংপুরকে গুটিয়ে দিয়ে ৪৯ বল হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নেয়।সাকিব আল হাসানের অভাবটা ভালোই টের পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। আগের দুই ম্যাচেই যে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জেতেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাকিববিহীন ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিংয়ে জ্বলে উঠতে পারেনি রংপুর।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের লো-স্কোরিং ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে মাত্র ৮৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় মিসবাহ-মিথুনরা। আগে ব্যাটিং করে রেকর্ড কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ১৯.৫ ওভারে ৮২ রান তোলে রংপুর। টস জিতে মাশরাফি বিন মুর্তজার ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিদান দেন কুলাসেকারা-সুনীল নারাইনরা। জবাবে ১১.৫ ওভার ব্যাট করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মোহাম্মদ মিথুন (২৮) ও সাকলাইন সজীব (১১) ছাড়া রংপুরের কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা মিসবাহ উল হক ব্যক্তিগত ৬ রানে আবু হায়দারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন।
অধিনায়ক মাশরাফি উইকেটশূন্য থাকলেও রংপুরের দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স (৩) ও সৌম্য সরকারকে (৫) প্যাভিলিয়নে ফেরান নুয়ান কুলাসেকারা। সর্বোচ্চ চারটি উইকেট দখল করেন লঙ্কান এ পেসার। বল হাতে দারুণ ধারাবাহিক ১৯ বছর বয়সী পেসার আবু হায়দার দু’টি উইকেট লাভ করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারাইন ও পাকিস্তানি স্পিনার জাইদি একটি করে উইকেট নেন।৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৯ রানের মাথায় কুমিল্লা তাদের প্রথম উইকেট হারায়। ওপেনার মাহমুদুল হাসানকে ফিরিয়ে দেন রংপুরের আরাফাত সানি। ব্যক্তিগত ১১ রান করে মিসবাহর তালুবন্দি হন মাহমুদুল।জয়ের পথে দলকে এগিয়ে নিতে স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে থাকেন কুমিল্লার আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং তিন নম্বরে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা মারলন স্যামুয়েলস। এ দু’জন স্কোরবোর্ডে আরও ৫৫ রান যোগ করেন।ইমরুল ২৯ বলে ২টি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২৪ রান। স্যামুয়েলস ২৪ বলে ৮টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন।