দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ নভেম্বর ২০১৫: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র আবার গভীর খাদের কিনারে গিয়ে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের কবলে পড়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়।বৃহস্পতিবার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ চিকিৎসক শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।খালেদা জিয়া বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পেটোয়াবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন শামসুল আলম খান মিলন।
স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর সর্বোচ্চ ত্যাগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সব কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে তিনি প্রেরণার উৎস।বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত, স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনাও আজ বিপর্যস্ত। ভোটারবিহীন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের ক্ষমতায় থাকার লিপ্সা দেশ-জাতিকে গভীর সংকটে ফেলেছে। এই রাজনৈতিক সংকটে জনগণের ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দেশে জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় নাম। সকল কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরাচারবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণার উৎস তিনি।তিনি বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। তার শাহাদত বার্ষিকীতে আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন একটি অবিস্মরণীয় নাম।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের এই সর্বোচ্চ ত্যাগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সকল কর্তৃত্ববাদী- স্বৈরাচারবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি আমাদের প্রেরণার উৎস।খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, দেশে গণতন্ত্র আবারও গভীর খাদের কিনারে গিয়ে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের কবলে পড়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনাও আজ বিপর্যস্ত। ভোটারবিহীন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের ক্ষমতায় থাকার লিন্সা দেশ-জাতিকে এক গভীর সংকটের মধ্যে ফেলেছে। এই রাজনৈতিক সংকটে জনগণের ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।ডা. মিলনের আত্মত্যাগকে সার্থক করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি প্রধান।
এদিকে, বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই ছিল ডা. শামসুল আলম খানের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। তার আত্মত্যাগ এ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথকে প্রশস্ত করে দিয়েছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনির্মাণে, কিন্তু তা আজও অধরাই রয়ে গেছে।২৭ নভেম্বর শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে রিপন এ কথা বলেন।তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের আত্মদান নয় বছরের স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল।
স্বৈরাচার হটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই ছিল তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। তার আত্মত্যাগ এ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথকে প্রশস্ত করে দিয়েছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনির্মাণে। কিন্তু তা আজও অধরা হয়েই রয়েছে। ডা. মিলনের স্বপ্ন ও আত্মত্যাগ আজও স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অনুপ্রেরণা দেয় উল্লেখ করে ড. রিপন বলেন, আজকের এই দিনে আমি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সকলের পড্রতি আহ্বান জানাই।