49616

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ নভেম্বর ২০১৫: আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আরো জোরদার হবে।বুধবার মালটায় কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হামমন্ড বৈঠককালে স্বস্ফুর্তভাবে এ আগ্রহের কথা জানান।দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যলেঞ্জ সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনা করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানায়।বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংস চরমপস্থার উত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএসআই ও আল-কায়দা তাদের নিজেদের ভূমি ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী বিস্তারে তৎপর হওয়ায় এটি একটি অভিন্ন হুমকিতে পরিণত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সকল দেশকে সজাগ হতে হবে।এ প্রসঙ্গে তিনি সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা করেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সংঘটিত বিএনপি-জামায়াত জোটের কার্যক্রমের লক্ষ্য ছিল দেশকে বিপন্ন করা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে যখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তিকে ম্লান করা।তিনি অবহিত করেন যে, এসব ঘটনায় যুক্তদের ধরা হয়েছে এবং গোয়েন্দারা তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, -এসব অপরাধ স্থানীয় চরমপন্থিরা ঘটিয়েছে- এর সঙ্গে বাইরের কারো যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তিনি আশ্বস্ত করেন যে, দেশের জনগণের পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।ব্রিটিশ মন্ত্রী এ ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।মাহমুদ আলী পছন্দমতো সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। ব্রিটিশ মন্ত্রী এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রথম দিনে নিয়মিত বৈঠকে অংশ নেন।

মন্ত্রীগণ, এসডিজি এবং এসডিজি বাস্তবায়নের উপায়সহ উন্নয়ন ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন।তারা এলডিসি’র জন্য গৃহীত উদ্যোগ এবং ছোট দেশগুলোর বাণিজ্য বিধি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের দেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণ সহজ করার মাধ্যমে কমনওয়েলথ অ্যাডভনটেজ তৈরির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।

এদিকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি’র নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল তিন দিনব্যাপী কমনওয়েলথ ওমেন’স ফোরাম বৈঠকে যোগ দিয়েছেন এবং তারা বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে সর্বোত্তম চর্চা এবং অগ্রগতি তুলে ধরেন।এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর প্রতিনিধিদলের অপর দুই সদস্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি’র সিইও এবং বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী সদস্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিজনেস ফোরামের বৈঠকে অংশ নেন।