দৈনিকবার্তা-রংপুর, ২৬ নভেম্বর ২০১৫: দিনাজপুরে এক খ্রিস্টান ফাদারকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পর রংপুরে আরেক ফাদার ও বিভিন্ন চার্চে কর্মরত আরও নয়জন পাদ্রিকে একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশ আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চ রংপুরের পালক প্রধান ফাদার রেভারেন্ড বার্নাবাস হেমরমের নামে বুধবার বিকালে ডাকযোগে পাঠানো এক চিঠিতে ওই হুমকি দেওয়া হয়।গত দুই মাসেরে মধ্যেই পাবনায় এক খ্রিস্টান পাদ্রিকে গলা কেটে এবং দিনাজপুরে আরেক ইতালীয় ধর্মযাজককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়।রংপুরে একইভাবে হত্যার চেষ্টা হয় বাহাই সম্প্রদায়ের এক নেতাকে। রংপুরে খুন হন মাজারের এক খাদেম।
এসব ঘটনার মধ্যেই হুমকি পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর কোতোয়ালি থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ফাদার বার্নাবাস হেমরম।তিনি বলেন, বুধবার বিকাল ৫টায় ডাক বিভাগের এক পিয়ন হলুদ খামে ওই চিঠি দিয়ে যান।খামের উপরে প্রেরকের জায়গায় গণেশ রায়ের ছেলে অতুল রায় ও একটি ঠিকানা লেখা থাকলেও চিঠিতে কারও নাম নেই। প্রেরকের ঠিকানায় লেখা হয়েছে দিনাজপুর সদরের কোমলপুরের উত্তরপাড়া গ্রামের নাম। চিঠিতে লেখা রয়েছে-এবার আমাদের পরিকল্পনা, বাংলাদেশে যারা খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করে তাদের সকলকে এক এক করে হত্যা করা হবে।আমাদের দেশ শুধু মুসলিম আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। বাংলাদেশে মুসলমান আছে কি না সেটা সরকার টের পাবে। হুমকির চিঠিতে বাকি যে নয়জনের নাম এসেছে, তারা রংপুর শহর, পীরগাছা ও মিঠাপুকুরের বাইবেল চার্চ অব গড, যিহোবা শালোম এজি চার্চ, টালিথা কুমি চার্চ, তনকা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, দাউদিপুকুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ, ধাপ উদয়পুর ক্যাথলিক চার্চ, হাসিয়া টালিধা কুমি চার্চ, কইলোচিয়া বাইবেল চার্চ ও সাধু ফিলিপ মেরি ক্যাথলিক চার্চে কর্মরত।
কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানার দুপুর থেকে ব্যাপ্টিস্ট চার্চে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।