12329

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয়টি কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, শিক্ষাসচিব, আইনসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ নয়জন বিবাদীকে। সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন বলে রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ নূর উজ সাদিক জানান।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ নূর উজ সাদিক বলেন, ৩৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চৌধুরী জাফর শরীফ ও আল মাসুম রিফাত এই ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশ কেন অবৈধ নয়, তা নিয়ে গত সপ্তাহে এ রিট আবেদনটি করেন। সোমবার তার শুনানি শেষে আদালত এ রুল জারি করেছেন।

নূর উজ সাদিক বলেন, আমরা আদালতকে বলেছিলাম ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার ফল মেধা ও কোটা আলাদাভাবে করা হয়নি। একীভূত করে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে, যা আইনসংগত নয়। আবার নিয়মানুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় ১ শতাংশ পরীক্ষার্থীকে চাকরি দিতে হবে, সে হিসাবে ২১ জন প্রতিবন্ধীর নিয়োগ পাওয়ার কথা। কিন্তু মাত্র তিনজনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। আমরা আদালতকে আরও বলেছিলাম, যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও ৪০৪টি পদ শূন্য রাখা হয়েছে।

নূর উজ সাদিক বলেন, গত ২৯ আগস্ট ৩৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। ২ হাজার ১৫৯ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। নন-ক্যাডার অভিধান ২০১০-এর ৫ এর ১ ধারা অনুযায়ী, মেধাক্রম অনুসারে চূড়ান্ত ফল তৈরি করতে হবে। কিন্তু তারা (পিএসসি) এটা না করে রোল নম্বরের ওপর ভিত্তি করে এ ফল প্রকাশ করেছে। প্রথা অনুযায়ী, ফল মেধাক্রম ও কোটা আলাদা করে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবার তা না করে মেধাক্রম ও কোটা একীভূত করে ফল প্রকাশ করা হয়েছে।