দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন বিষয়ে রুলের ওপর আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আদেশের দিন ধার্য করা হল।সোমবার বিচারপতি মো.রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এ দিন পুননির্ধারণ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।ফজলুর রহমান বলেন, ২২ নভেম্বর ফখরুলের জামিন বিষয়ে রুলের রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। আদালত মির্জা ফখরুলের মেডিকেল সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন (চিকিৎসা সনদ) জমা দিতে আমাদের বলেছিল। আজ আমরা আদালতে সেটি জমা দিয়েছি।রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির এই নেতা জামিন পাবেন কি না, সে বিষয়ে আদেশের জন্য প্রথম দফায় ১৬ নভেম্বর তারিখ ধার্য ছিল।
পল্টন থানায় নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুলের আদেশের দিন পিছিয়ে মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।এ রুলের আদেশ দেয়ার জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন ফখরুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে না পৌঁছানোর কারণে আগামীকাল আদালত এ রুলের রায় ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।
এ রুলের শুনানিতে আদালতে ফখরুলের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।১৬ নভেম্বর আসামি ও রাষ্ট্র উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিনের ওপর রুলের বিষয়ে আদেশের জন্য গতকাল রোববার দিন ধার্য করেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেছিলেন। মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির।
গত ৯ নভেম্বর রুল শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তার আগে গত ২ নভেম্বর মির্জা ফখরুলকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরের দিন ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল নিম্ন (বিচারিক) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।গত ২১ জুন ওই তিন মামলায় ফখরুলকে দুই মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের জামিন আপিল বিভাগ বহাল রাখেন। ফলে সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান তিনি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফখরুল বিদেশে যান। দেশে ফিরে আবেদন জানিয়ে আত্মসমর্পণের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে নেন মির্জা ফখরুল।নাশকতা, উস্কানি ও পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় হরতালের মধ্যে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৪ ও ৬ জানুয়ারি এসব মামলা দায়ের করে ওই দুই থানা পুলিশ। গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
