দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ নভেম্বর ২০১৫: দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া। দুই মাসের বেশি সময় পরে লন্ডন থেকে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে হয়রত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিমানবন্দরের বাইরে দলের সিনিয়র নেতা মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, ওসমান ফারুক, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আহমেদ আজম খান, মোহাম্মদ শাহজাহান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, ফজলুল হক মিলন, গোলাম আকবর খন্দকার, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবীর খোকন জয়নুল আবদিন ফারুকসহ নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানান। এছাড়া আরো ছিলেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আবদুস সালাম আজাদ, শাহজাদা মিয়া, নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, রাবেয়া সিরাজ, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার,অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবদুল মজিদ, মাহবুব আল আমীন ডিউ, শায়রুল কবীর খান, শামসুদ্দিন দিদারসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময়ে নেতা-কর্মীরা ‘খালেদা জিয়ার আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম’, খালেদা জিয়া এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে।
মওদুদ আহমদ অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ আমাদের নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে আজ হাজার হাজার নেতা-কর্মী বিমানবন্দরের বাইরে উপস্থিত হয়েছে। আমাদের কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এ থেকে প্রমাণ হয়ে দেশে গণতন্ত্র নেই।” এদিকে বিএনপি চেয়ারপাসনের আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরসহ ভিআইপি সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সংখ্যাক পুলিশ, র্যা বসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। বিমান বন্দরের প্রবেশমুখে গোল চত্বরে কয়েকস্তরের ব্যারিকেড দেয়ায় নেতা-কর্মীদের কাউকে প্রবেশ দেয়নি। বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীদের। গত ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা। সেখানে তিনি চোখ ও বাতের চিকিৎসা নেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই বিমানে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালও ফিরেছেন।
গত দুই মাস ধরে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানেই এবারের কোরবানির ঈদ কেটেছে তার। লন্ডনে বিএনপির আয়োজনে দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বক্তব্যও দেন। খালেদার লন্ডনে অবস্থানের মধ্যেই বাংলাদেশে দুই বিদেশি নাগরিক খুন হয়েছেন এবং তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুই পুলিশকে, যেসব ঘটনার জন্য বিএনপি নেত্রীকেই দায়ী করে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরিই বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ‘বানচালের উদ্দেশ্যে’ বিদেশে বসে খালেদা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন। অন্যদিকে বিএনপি বলে আসছে, সরকার নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ হয়ে’ এখন তাদের ওপর ‘দায় চাপাচ্ছে’।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর চোখের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারসহ প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে একসঙ্গে ঈদ করেন বিএনপি প্রধান। খালেদার লন্ডনে অবস্থানের মধ্যেই বাংলাদেশে দুই বিদেশি নাগরিক খুন হয়েছেন এবং তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুই পুলিশকে, যেসব ঘটনার জন্য বিএনপি নেত্রীকেই দায়ী করে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরিই বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ‘বানচালের উদ্দেশ্যে’ দেশে বসে খালেদা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন। অন্যদিকে বিএনপি বলে আসছে, সরকার নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ হয়ে’ এখন তাদের ওপর ‘দায় চাপাচ্ছে’। চিকিৎসা নিয়ে কোরবানির ঈদের পর খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন বলে এর আগে জানিয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু দুই মাসেও তিনি না আসায় তার ফেরা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খান গত সপ্তাহেও এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার কথা বলে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গেছেন। তিনি আর দেশে আসবেন না।”