ওবায়দুল-কাদের

দৈনিকবার্তা- বগুড়া, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ : আমাদের দেশের রাজনীতিকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে লাগামছাড়া জিহ্বা। তাদের কথাবার্তা বলার সময় সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এছাড়া আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি, সেন্সলেস পলিটিক্স। এই দুইটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমরা বড় ধরনের দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার দিকে ধাবিত হবো। এমনটাই বললেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সাধারণ সভা ও গুণীজন সম্মাননা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।শুক্রবার সকালে ঢাবির টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত এ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সাবেক কীর্তিমান ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

লাগামহীন বক্তব্য এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ভাষণটা কম হবে কিন্তু অ্যাকশনটা হবে বেশি।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, আমরা যত ভালো কথা বলি ততোটা কাজ করি না। কথার রঙ্গিন বেলুন উড়াতে উড়াতে আমরা অনেক উপরে যাই। কিন্তু প্রতিশ্র“তি রক্ষার ক্ষেত্রে নেই।বর্তমান সময়ের রাজনীতির সবচেয়ে বড় সংকট লাগাম ছাড়া বক্তব্য এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের বড় বিপর্যয় ঘটবে।এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার ভালো কথার স্টক ফুরিয়ে গেছে। এদেশে আমরা যতো ভালো কথা বলেছি সে তুলনায় ভালো কাজ হয়েছে অনেক কম। এদেশের মানুষ ভালো কথা শুনতে শুনতে টায়ার্ড হয়ে গেছে। এখন থেকে ভাষণ কম, অ্যাকশান বেশি।

তিনি নিজেকে সার্বজনীন উল্লেখ করে বলেন, যদিও আমি দল মনোনীত মন্ত্রী তারপরও আমি মনে করি, আমি কোনো দলের মন্ত্রী নই, আামি দেশের মন্ত্রী। যিনি মন্ত্রী হবেন, তিনি কোনো এলাকার মন্ত্রী নন, তিনি দেশের মন্ত্রী।রাজনৈতিক বিভক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মার মতো সেতু আমরা নিজেদের ফান্ডে করছি অথচ আমাদের নিজেদের মধ্যকার সেতু আমরা নির্মাণ করতে পারিনি। আজকের রাজনীতি এতোটাই বিভাজিত। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ দিয়ে যারা রাজনীতিকে বিষাক্ত করছে তাদেরকে দমন করতে হবে বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।তিনি আরো বলেন, আমাদের এক অভিন্ন গৌরব হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, অভিন্ন শত্রু হচ্ছে দারিদ্রতা আর অভিন্ন বিপদ হচ্ছে ধর্মীয় গোঁড়ামি।

অনুষ্ঠানে চারজন সাবেক শিক্ষার্থীকে গুণীজন সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- অ্যাম্বাসেডর হুমায়ুন কবির, সোহেল আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক মো. মোহাব্বত খান এবং সৈয়দ মমতাজ শিরীন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডুপডা’র সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী মোস্তাক, পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহ্বয়ক মিজানুর রহমান, ডুপডা’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউনুল কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।