দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ : ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মার্কিন হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর চালানো হত্যাকান্ড, নির্যাতন ও নারীদের ধর্ষণ নিয়ে ভয়ঙ্কর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।ইরাকের উত্তরাঞ্চলের সিনজার পার্বত্যাঞ্চলের চারপাশে বেশির ভাগ সংখ্যালঘু ইয়াজিদিরা বসবাস করে। তারা কুর্দি ভাষায় কথা বলেন।ইয়াজিদিরা না মুসলিম, না আরব। তাদের নিজস্ব ধর্মবিশ্বাস রয়েছে। জঙ্গিরা তাদের বিধর্মী ও বহু ঈশ্বরবাদী বলে মনে করে।২০১৪ সালের গ্রীষ্মে জিহাদিরা ইরাকের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অংশে অপ্রত্যাশিতভাবে ঢুকে পড়ে। তারা অনেক ইয়াজিদিকে হত্যা ও অপহরণ করে।হাজার হাজার ইয়াজিদি প্রাণের ভয়ে সিনজার পর্বতের ওপরে আশ্রয় নেয় এবং তারা সেখানে পানি ও খাবার ছাড়া কয়েকদিন মানবেতর জীবন কাটায়।জাদুঘরের সিমন-এসজদ সেন্টার ফর দ্য প্রিভেনশন অব জেনোসাইডের পরিচালক ক্যামেরন হাডসন বলেন, ইয়াজিদি লোকজনের ওপর গণহত্যা চলছে এবং যে বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশুকে অপহরণ করা হয়েছিল তারা এখনও দাসত্বের জীবনযাপন করছেন।
গত সেপ্টেম্বনে ইরাকের উত্তরাঞ্চলের নিনেভা প্রদেশে দুই সপ্তাহ ধরে গবেষণা চালায় সেন্টার। গবেষণার সময় সেখানে চালানো নৃশংসতা, চলমান পরি¯ি’তি ও এ অঞ্চলের সংখ্যালঘু ও অন্যান্য বেসামরিক নাগরিকদের ভবিষ্যত ঝুঁকি পর্যালোচনা করা হয়।সেন্টারের উপ-পরিচালক নাওমি কিকোলের বলেন, চরমপন্থী আদর্শের পাশাপাশি আইএস তাদের বিভিন্ন সময়ে চালানো কর্মকান্ড সম্পর্কে ব্যাখাসম্বলিত যেসব প্রচারপত্র ও বিবৃতি দিয়েছে আমরা তা দেখেছি।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুতির ঘটনা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা, ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যার বীভৎস বর্ণনা পাওয়া গেছে।এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইয়াজিদি লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তাদের পরিবারের নিখোঁজ সদস্যদের নাম বলেছেন। তারা জানান, তাদের স্ত্রী ও কন্যাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা। আর তাদের পুত্র ও ভাইদের কথা তারা জানেন না।