nur hossain_171900

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ নভেম্বর ২০১৫: শহীদ নূর হোসেন দিবস মঙ্গলবার। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন-সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন।১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলনে বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লেখা স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ করেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অকুতোভয়সেই যুবকের অগ্নিঝরাস্লোগান সহ্য হয়নি তৎকালীন স্বৈরশাসকের। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তার বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। গুলিতে আরো শহীদ হন যুবলীগ নেতা নুরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটোও। নূর হোসেনের আত্মত্যাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ এর ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারের পতন ঘটে। এরপর থেকে প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, আলোচনা সভা, সেমিনার, বিশেষ মোনাজাত প্রভৃতি।

শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারসকাল ৭টায় শহীদ নূর হোসেন স্কোয়ারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। এ সময়ে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আজ এক বিবৃতিতে শহীদ নূর হোসেন দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের জন্য সংগঠনের সকল শাখাসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।