দৈনিকবার্তা-গাইবান্ধা, ০৮ নভেম্বর ২০১৫: শিশু শাহাদত হোসেন সৌরভকে গুলি করে হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের অন্তবর্তীকালিন জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সংসদ অধিবেশন চলাকালিন সময় পর্যন্ত এ জামিন অব্যাহত থাকবে। রোববার সংসদ সদস্য লিটনের আইনজীবীদের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.মাইনুল হাসান ইউসুফের আদালতে জামিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।
সাংসদের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন সংসদ অধিবেশন চলছে। মঞ্জুরুল ইসলাম একজন সংসদ সদস্য তাই এই অধিবেশনে তাকে যোগ দিতে হবে। এ জন্য তিনি তথ্য উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত সংসদ অধিবেশন চলা পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।এর আগে তিন দফা জামিন আবেদন ওই আদালত নামঞ্জুর করেন। ঢাকায় গত ১৪ অক্টোবর গ্রেফতারের একদিন পর গাইবান্ধা আদালতে হাজির করা হয়। পরে গত ২৫ অক্টোবর ও ৪ নভেম্বর তার আরও দু’দফা তার জামিন আবেদন করা হয়।অবশ্য গত ৪ নভেম্বর হাফিজার রহমান মন্ডলের বাড়ি ভাংচুরের মামলায় তার জামিন আবেদন আদালত মঞ্জুর করেন। ওইদিন সৌরভ হত্যা প্রচেষ্টা মামলারও জামিন আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক সেদিন ওই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন ৮ নভেম্বর রোববার। সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের আইনজীবিরা সংসদ অধিবেশনে যোগদানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তার জামিন আবেদন করেন। বিচারক রোববার এমপি লিটনের আইনজীবীদের ওই আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেন।অপরদিকে জিআরও জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক সংসদ অধিবেশন চলাকালিন সময় পর্যন্ত এমপি লিটনের অন্তবর্তীকালিন জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ভোরে সুন্দরগঞ্জের গোপাল চরণ এলাকায় শিশু শাহাদত হোসেন সৌরভকে পিস্তল দিয়ে গুলি করেন সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গত ১৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেন। পর দিন ১৫ অক্টোবর তাকে আদালতে উপস্থিত করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এরপর আরও দু’দফা তার জামিন আবেদন করা হয়। ওই জামিন আবেদন শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করা হয়।এদিকে তিন সপ্তাহ কারাগারে কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।তার আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে এমপি লিটনকে ছেড়ে দেয় গাইবান্ধা জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ।তিনি বলেন, জেল গেটেই জেলা আওয়ামী লীগ ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এমপি লিটনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। তারপর নিজের লাল রংয়ের পাজেরোতে উঠে সুন্দরগঞ্জে নিজ বাড়ির পথে রওনা হন তিনি।