49989_183

দৈনিকবার্তা-মুন্সীগঞ্জ, ০৮ নভেম্বর ২০১৫: জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া পদ্মায় অব্যাহতভাবে পানি হ্রাসের কারণে শিমুলিয়া নৌরুটের বেসিন এলাকায় ফের নাব্যতা সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে।একইসাথে শিমুলিয়া ঘাটের অদূরে চরার পাশে সরু এপ্রোচ রাউন্ড চ্যানেলে ও মাগুরখন্ড পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নাব্যতা সঙ্কট।এতে করে গত কয়েকদিন ধরে শিমুলিয়া ঘাট এলাকা সংলগ্ন পদ্মায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ফেরী চলাচল।গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১৬টি যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনসহ দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ফেরী বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন শিমুলিয়া ৩ নং রো রো ঘাটের সামনে ডুবোচরে আটকা পড়ে। পানি হ্রাসের কারণে এ পয়েন্টে ফেরীটি আটকে গেলেও একপর্যায়ে ৬ঘন্টা পর ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ টাগ আইটি-৩৯৫ দিয়ে ফেরীটি টেনে উদ্ধার করে মাওয়া বিআইডব্লিউটিসি ফেরী কর্তৃপক্ষ।এ সময় ডুবোচরে আটকে থেকে শত শত যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

এদিকে গত ঈদুল আজহার পর থেকে বিআইডব্লিউটিএর দুইটি ড্রেজার দিয়ে বেসিন এলাকায় পলি অপসারণ কাজ চলমান রাখা হয়েছিল।তবে তা ধীরগতিতে হওয়ায় চলতি শুস্ক মৌসুমের শুরুতেই ফেরী চলাচল চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।কেননা পদ্মায় একদিকে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকলেও অন্যদিকে ৩টি ফেরী পন্টুনের মুখেই ড্রেজিং ও ড্রেজিংয়ের সরঞ্জাম থাকায় বিঘিœত হচ্ছে নৌযান চলাচল।এতে করে দ্রুতগতিতে ড্রেজিং কাজ শেষ করা না হলে যে কোন মুহুর্তে যানবাহন পারাপারে অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। বিআইডব্লি¬উটিসির মেরিন অফিসার শাজাহান ও আহমেদ আলী জানান,প্রতিদিনই ৬/৭সেন্টিমিটার করে পানি হ্রাস পাওয়ায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকার মুখে,ঘাটের বাইরে চরার পাশে ও মাগুরখন্ড পয়েন্টে নাব্যতা সঙ্কট দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে।

বর্তমানে পদ্মায় দ্রুতগতিতে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকার মুখেই বেসিন এরিয়া ও ৩নং রো রো ঘাটের সামনে এপ্রোচ রাউন্ড চ্যানেলে ফেরী চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দেখা দিচ্ছে।এখানে বিআইডব্লিউটিএর দুইটি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ কাজ চলমান থাকলেও তা ধীরগতিতে হওয়ায় ফেরী চলাচলে সমস্যা বেড়েই চলেছে । বিআইডব্লি¬উটিএর উপ সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) ইকবাল হোসেন রবিবার বিকেলে জানান,জুলাই মাস থেকে এ সময় পর্যন্ত নৌরুটের পদ্মায় মোট ১০ফুট পানি হ্রাস পেলেও বর্তমানে নৌরুটে মোট ৭টি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।এর মধ্যে বেসিন এলাকায় ২টি, লৌহজং টার্নিংয়ে ৩টি ও মাগুরখন্ড পয়েন্টে ২টি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ কাজ চলমান রয়েছে।