দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ নভেম্বর ২০১৫: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকবন্ধু বলায় এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের মামলায় অভিযোগে এক মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। রোববার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার অতিরিক্ত সিএমএম লুৎফর রহমান শিশিরের আদালত।গত ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবি পুলিশ। ওই দিন প্রতিবেদনটি ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে উত্থাপন করা হলে ০৮ নভেম্বর বাদীকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন বিচারক।গত বছরের ১৯ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক দণ্ডবিধির ১২৩ (ক) ধারায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।ওইদিন বিচারক সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহকারী কমিশনারের (এসি) নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলার ঘটনা তদন্ত করতে গোয়েন্দা পুলিশের ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের ইয়র্ক হলের এক সভায় জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন তারেক রহমান, যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।এছাড়া বঙ্গবন্ধুর নামেও কটূক্তি করেন তারেক রহমান। বঙ্গবন্ধুকে পাকবন্ধু বলা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে বিকৃত করার সামিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।এদিন বাদীর উপস্থিতিতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয়ে শুনানির দিন ছিল। সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে বিচারক পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব লন্ডনের ইয়র্ক হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘পাকবন্ধু’ বলেন তারেক।গত ২১ মে গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন, যাতে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক বলেন, সে প্রতিবেদনের ওপর রোববার শুনানি শেষে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের নিন্দা ও অপপ্রচারের অভিযোগে’ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম।