দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ নভেম্বর ২০১৫: বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার জাতীয় সংলাপের আহ্বান নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,খুনিদের সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো ইচ্ছা তার নেই।তিনি বলেন, আপনি যদি কারও বাড়িতে যান, সে যদি ঢুকতে না দিয়ে ফিরিয়ে দেয় তাহলে কেমন লাগবে? এরপরও এ বিষয়ে আবার কেন প্রশ্ন করেন? তিনি ঐক্যের কথা কোন উদ্দেশ্যে বলছেন? আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, আমাকে তার কাছে কতো ঝাড়ি খেতে হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার পর গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। নেদারল্যান্ডস সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।গত ৩ নভেম্বর দ্বিপাক্ষিক সফরে নেদারল্যান্ডস যান প্রধানমন্ত্রী। ব্যস্ততম এ সফর শেষে তিনি ঢাকায় ফেরেন ৬ নভেম্বর। শেখ হাসিনা সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, যখন সত্যিকারভাবে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির সুযোগ এসেছিল, তখন তিনি সাড়া দেননি। নির্বাচন বানচাল করার জন্য তিনি পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছেন। তার কাছে গেলেই এখন পোড়া মানুষের গন্ধ পাবো। এতোদূর পর্যন্ত গেলাম, ফোন দিলাম। তিনি নির্বাচন বয়কটই কেবল করেননি, মানুষকে হত্যা করেছেন। প্রিসাইডিং অফিসারকে পর্যন্ত পুড়িয়েছেন। যখন জাতির প্রয়োজন ছিলো তখন তার সাড়া আসেনি। এখন বাংলাদেশে এতো রাজনৈতিক দৈন্যতা পড়েনি যে খুনির সঙ্গে বসতে হবে। যার হাত দিয়ে মানুষ পোড়ে, তার সঙ্গে বসার কোনো দরকার নেই।
তবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যদি বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া উচিত, এটা সমর্থন করি। তারপর ভেবে দেখা যাবে। দয়া করে খুনির সঙ্গে বসতে অনুরোধ করবেন না।সম্মেলনে তিনি বলেন, এতো দৈন্য দশায় বাংলাদেশ পড়েনি, যাতে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে- তাদের সঙ্গে সংলাপে বসতে হবে।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া যে ‘উচিৎ’ তা যখন স্বীকার করবেন, তখনই তিনি সংলাপে বসার যোগ্যতা অর্জন করবেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।দেড় মাসের বেশি সময় ধরে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপিনেত্রী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেন, সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে দেশের এই ক্রান্তিকাল ও সঙ্কটজনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রকে সংকোচন না করে কর্তৃত্ববাদী মনোভাব থেকে সরে এসে একটি জাতীয় সংলাপের সূচনার পরিবেশকে উন্মুক্ত করবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করার কথা মনে করিয়ে দেন।তিনি বলেন, আপনারা জানেন, নির্বাচনের আগে আমি তাকে ফোন করি। তখন কী ধরনের কথা শুনতে হয়েছে। ফোন করে আমার ঝাড়ি খেতে হয়েছে।খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর সমবেদনা জানাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়েও ঢুকতে না পারার কথাও মনে করিয়ে দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আপনি যদি কারও বাড়িতে যান, আর আপনার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, আপনি কি তার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন?সংলাপের কথা বলার আগে খালেদা জিয়াকে মানুষ পোড়ানোর রাস্তা’ থেকে বেরিয়ে আসার এবং জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা।
উনি বলুক- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সমর্থন করেন। উনি বলুক- যুদ্ধাপরাধের যে বিচার হচ্ছে, তা সঠিক হচ্ছে।এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় সংলাপের জন্যই খালেদা জিয়া ‘মানুষ হত্যা করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন।যার হাতে মানুষ পোড়ে, তার সাথে সংলাপের ইচ্ছা আমার নাই। দয়া করে আমাকে ওই খুনি মানুষের সাথে বসতে অনুরোধ করবেন না। কারণ বসলেই পোড়া গন্ধ পাব।সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া হত্যা ও হামলার জন্যও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যার পরও যেখানে দেখা যাচ্ছে যে তারা কিছু করতে পারছে না, তাই একটি গ্র“প নেমেছে গুপ্ত হত্যায়।বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মত ব্যবহার করার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া হত্যা ও হামলার পেছনে আইএস বা জঙ্গি গোষ্ঠী থাকার স্বীকারোক্তি দিতে চাপ আসছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চায়। আফগানিস্তান, পাকিস্তান বানাতে চায়। যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে।বাংলাদেশকে যে কোনোভাবে অনিরাপাদ প্রমাণ করার জন্য আর্টিফিশিয়ালি এসব হত্যা-হামলা ঘটানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গুলশানে এক ইতালীয় নাগরিক এবং রংপুরে জাপানি খুন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থাকার সময়ই আশুলিয়ায় তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে এক কনস্টেবলকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।তার আগে গতমাসের শেষ দিকে গাবতলীতে এক তল্লাশি চৌকিতে একইভাবে হামলা চালিয়ে আরেক পুলিশ হত্যা করা হয়। পুরান ঢাকার ইমামবাড়ায় আশুরার তাজিয়া মিছিলের সময় বোমা হামলায় নিহত হয় দুইজন। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। কিন্তু বাংলাদেশকে যে কোনোভাবে অনিরাপদ আর (এখানে) জঙ্গি আছে স্বীকার করা আর স্বীকার করলে হামলে পড়া- এই ধরনের পরিকল্পনা অনেকের আছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে হত্যা করছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে মারছে। সূত্রটা কার হাতে? ক্রীড়ানক কে? খেলছে কে?এসব ঘটনায় আইএস ও আল কায়েদার নামে দায় স্বীকার করা করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট খবর দিলেও তার কোনো ভিত্তি নেই বলে সরকারের দাবি। বাংলাদেশে এ ধরনের আরও হামলার আশঙ্কার কথা তুলে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের এ দেশে চলাফেরায় সতর্কতা জারি করেছে। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল এবং দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত জোটই এসব করাচ্ছে।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি দেশের ভেতর থেকেও বাংলাদেশকে অনিরাপদ প্রমাণ করার অপচেষ্টা চলছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যার পরও যখন েেদখা যাচ্ছে যে তারা কিছু করতে পারছে না, তাই একটি গ্র“প নেমেছে গুপ্ত হত্যায়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারাই বাংলাদেশে আইএস আছে- এটি প্রমাণ করতে চাইছে। আর তা প্রমাণ করা গেলে’ বাংলাদেশে কী ঘটতে পারে তা দেশবাসীকে অনুধাবন করতে বলেন তিনি।সিরিয়ায় কী হচ্ছে, লিবিয়ায় কী হচ্ছে, ইরাকে কী হচ্ছেৃ সেসব দেশে যা হচ্ছে, তারা বাংলাদেশেও সেই অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ওই অবস্থা সৃুষ্ট হোক তা তার সরকারের কাম্য নয়।প্রচণ্ড চাপ.. যে আমরা কেন স্বীকার করি না। আমরা দেখতে পাচ্ছি কে, কারা এসব করছে। আমাদের যে সমাজ, তাতে সবাই তো চেনা। শেখ হাসিনা বলেন, যারা ধরা পড়ছে, তারা একটি বিশেষ দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, হয়ত ছাত্রজীবনে শিবির করেছে, ছাত্রদল করেছে। আর কাউকে তো আমরা দেখছি না।
বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই অনিরাপদ-অনিরাপদ বলে চিৎকার করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।তাদের আরও অনেক পরিকল্পনা আছে। তারা অনেকদূর এগোতে চায়। যারা বলছে, বাংলাদেশ নিরাপদ নয়, তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অনেকে বাংলাদেশকে অনিরাপদ করতে চায়।শেখ হাসিনা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অনেক স্পষ্ট কথা বলছি। কারণ, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। আমি আমার বাবার সন্তান।বাংলাদেশের নাগরিকদেও অসাম্প্রদায়িক’ অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, আশুরার আগের রাতের বোমা হামলার ঘটনাকে শিয়া-সুন্নি গোলমাল হিসেবে দেখানোর চেষ্টাও হয়েছে।এ ধরনের হামলা যারা চালিয়েছে এবং যারা এর পেছনে রয়েছে, তাদের অনেককেই চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থায়ন মূলত একটি দল করছে, আর মাঠে খুন খারাবির কাজ আরেকটা দল করছে। এর বেশ কিছু তথ্য আছে, আরও তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা হচ্ছে। কোনো তদন্ত ছাড়াই এসব ঘটনাকে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা হচ্ছে, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীরপ্র“ষ্টি আকর্ষণ করেন এক সাংবাদিক।উত্তরে সরকারপ্রধান বলেন, তাদের ষড়যন্ত্রের মধ্যে কি পা দেব? পরিকল্পিত ঘটনা। বিচ্ছিন্ন ঘটনা তো কি বলব?
বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো ‘সহজ’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকায় প্রতি মিনিট কত ক্রাইম হচ্ছে? সে হিসাবে বলব, বাংলাদেশ নিরাপদ। অনিরাপদ না।তিনি বলেন, মানুষ হত্যা করে একটা পরিস্থিতি বানিয়ে সংলাপের কথা যেহেতু বলছেন, তাতে বোঝা যায় এতে তার হাত আছে। এটা স্পষ্ট।সাম্প্রতিক বিদেশি হত্যা ও কিছু দেশের সতর্কতা জারি নিয়ে সাংবাদিকদেও প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ফ্লোরিডায় মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। কেন এই প্রবাসীকে সেখানে হত্যা করা হলো, সে প্রশ্ন কি আমেরিকান প্রেসিডেন্টকে কেউ করতে পারবেন?
তিনি বলেন, এখন সাম্প্রতিক বিদেশি হত্যায় কেউ বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে যদি প্রশ্ন তোলে, তবে এ দেশে আইএস আছে বলে প্রমাণ করতে যারা চক্রান্ত করছে তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলা হবে। বাংলাদেশের কেউ কি এটি প্রমাণ করতে চান? আমেরিকায় প্রতিদিন কতো হত্যাকাণ্ড ঘটে, সে তুলনায় বাংলাদেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ দেশ, কোনোভাবেই অনিরাপদ নয়। শেখ হাসিনা বলেন, চক্রান্তকারীরা বাংলাদেশকে অনিরাপদ প্রমাণ করতে ব্যস্ত, যেন কোনোভাবে বাংলাদেশে ঢুকে হামলা করতে পারে। কিন্তু আমরা কি তাদের সে সুযোগ করে দেবো?তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে দেশের একটি গোষ্ঠীও এ চক্রান্তে লিপ্ত। দেশবাসী যদি সচেতন না হোন তাহলে সর্বনাশ।নিরাপত্তা নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কথায় আছে- ‘বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়’। সবাইকে সাহস রাখতে হবে। খুনের কতো তালিকা হয়। ১৯৮১ সালে যেদিন দেশের মাটিতে পা রেখেছিলাম, সেদিন থেকেই সব তালিকার শীর্ষে রয়েছি আমি। আমি তো ভীত নই। এমনিতেই গভীর চক্রান্ত চলছে এ দেশকে অনিরাপদ প্রমাণ করতে। নিজেরা সতর্ক-সাহসী না হলে চক্রান্তকারীদের উদ্দেশ্য সফল হয়ে যাবে।এসময় ধর্ম নিয়ে বিকৃত রুচির লেখালেখি না করারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এ ধরনের লেখা যেন না হয়। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু সেক্যুলারিজম মানে ধর্মহীনতা নয়। তাই কেউ ধর্ম মানবে কি মানবে না, সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু অন্যের ধর্মে আঘাত দিতে পারবে না। বিকৃত লেখা মানবিক গুণ নয়। কারও অনুভূতি যেন আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখাই মানবিকতা।
তিনি দেশবাসীকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকের মনে সাহস থাকতে হবে। রাষ্ট্র নিরাপত্তা দেবে, নিজেকেও সচেতন হতে হবে।জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি আদালতে প্রক্রিয়াধীন। আদালতের বিষয়। আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। লেখক-প্রকাশক-ব্লগার হত্যার বিচার প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, লেখক-ব্লগার হত্যাকারীরা ধরা পড়ছে। তদন্ত হচ্ছে। খুনিদের কোনো তথ্য দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অবশ্যই সব খুনের বিচার হবে।যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক বিবৃতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের স্মরণ করা উচিত সাকা এবং মুজাহিদ কী অপরাধ করেছে। তারা নিশ্চয়ই মোটা অংকের কিছু পেয়ে গেছে, এজন্য এসব মন্তব্য করেছে।সফরের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রশংসা করেছেন এবং এ খাতে সহযোগিতার কথা বলেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আন্তরিক ও উষ্ণ এবং এ সম্পর্ক আরও গভীর, জোরদার ও বিস্তৃত হবে। ইতোমধ্যে চর উন্নয়ন ও সমুদ্র ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস নিবিড়ভাবে কাজ করছে।ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন, সমুদ্র ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা পাবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।