এডভোকেট কামরুল ইসলাম

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ নভেম্বর ২০১৫: খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, সেনাবাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা শূন্য করার জন্য কাজ করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।তিনি বলেন, তিনি (জিয়া) পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং স্বাধীনতার পর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন।জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের নাটের গুরু হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর খোন্দকার মোস্তাক প্রেসিডেন্ট এবং জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হন।

এডভোকেট কামরুল ইসলাম শনিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস ও বিটিভি’র ৪ কর্মকর্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আকতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ফারুক-রশিদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকলেও জিয়াউর রহমান ইতিহাসের নির্মম এ হত্যাকান্ডের সমন্নয়কের দায়িত্ব পালন করেছে।তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা। কেননা ৩ নভেম্বর কোন সেনা কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়নি। কিন্তু৭ নভেম্বর খালেদ মোশাররফসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়।এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডে যে ল্যান্সার ও আর্টিলারী কোরের সেনারা জড়িত ছিল তারাই জিয়াউর রহমানকে তথাকথিত বন্ধীদশা থেকে মুক্ত করেছিল।এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান কখনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়েছেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন এবং গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব এবং রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন।