ড.হাছান

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৫ নভেম্বর ২০১৫: সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক নেত্রী নন, তিনি লেডি কিলার। হরর মুভির নায়িকার বাস্তব রূপ।তার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।তিনি বলেন, লন্ডনে বসে খালেদা জিয়া আমাদের নেত্রীকে অনেক কটাক্ষ করেছেন। লেডি হিটলার বলেছেন। উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে হলে অপরাজনীতির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে, আর এ অপরাজনীতির নেত্রীও বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে মরহুম আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবুর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু স্মৃতি সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।হাছান মাহমুদ বলেন,‘গত পরশু লন্ডনে বসে খালেদা বলেছেন বাংলাদেশে রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে। দেশে না কি কোনো উন্নয়ন হয়নি। তার সাথে যারা আছেন তাদের আমি অনুরোধ করব, খালেদা জিয়ার চোখের চিকিৎসা যেন ভালোভাবে করা হয়।’

তিনি বলেন, ৭ বছর আগে যেখানে মানুষ পায়ে হেঁটে যেত সেখানে এখন গাড়ি নিয়ে যায়। দেশের ৭৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। আগামী আড়াই বছরে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে। তারপরও তিনি কোনো উন্নয়ন দেখছেন না।আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবু প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বাবু ভাইয়ের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আওয়ামী লীগ পরিবারে খুব কম মানুষ আছে যারা তার দ্বারা উপকৃত হয়নি। তার কাছে গেলে কেউ খালি হাতে ফিরে আসত না।

তিনি আরো বলেন, বহু আগেই আখতারুজ্জামান বাবু মন্ত্রী হতে পারতেন। আপোষের রাজনীতি করলে জিয়া, এরশাদ মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারতেন কিন্তু তিনি দল ত্যাগ করেননি। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে এগিয়ে নেয়ার পথে পাশে পেয়েছেন আখতারুজ্জামান চৌধুরীর মতো নেতাদের।খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন,জামায়াত-শিবির গণতন্ত্রের আলখেল্লাধারী রাজনৈতিক দল আর তাদের বি টিম হচ্ছে আনসারুল্লাহ ও হুজি।তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে জঙ্গি দমনের নামে সেসব দেশে হামলা চালায় তাদের সাথে আঁতাত করছে বিএনপি–জামায়াত জোট। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। এর পেছনে কাজ করছে খালেদা–তারেক।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজ গুপ্তহত্যার মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগুনসন্ত্রাসের পর এটা তাদের নতুন কৌশল। এ গুপ্তহত্যার পেছনে ছাত্রদল, যুবদল ও মহানগর বিএনপির যোগসূত্র আছে, তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসছে। এরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে।মন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, যে মুহূর্তে দুজন যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকরের পথে সেই সময়ে দুজন বিদেশি নাগরিক হত্যা, একজন এসআই হত্যা, প্রকাশক হত্যা, শিল্পপুলিশ হত্যা এগুলো কীসের আলামত?

কামরুল বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে এমন কোনো রাজনৈতিক দল এ ঘটনাগুলো ঘটায়, এটা আমি বিশ্বাস করতে চাই না।মন্ত্রী বলেন, বিএনপিতে যারা আছে তাদের সবাই এসব ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তবে বিএনপির কিছু যুবক ও নেতা আছে যারা বিশ্বাস করে সন্ত্রাসের মাধ্যমে শক্তি অর্জন করা যায়, তারাই জামায়াতের সাথে আঁতাত করে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়।আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ বদিউল আলমের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য দেন সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।